বিশেষ প্রতিবেদকঃরাজধানী সহ দেশব্যাপি খুচরা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর এবার চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা।
রাজধানীতে দাম বাড়ার আগে কুষ্টিয়া ও নওগাঁয়ও চালের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়েছে। কুষ্টিয়ায় কিছুদিন আগে যে মিনিকেট চালের দাম ছিল ৩৮ টাকা, এখন সেই চালের দাম ৪৪-৪৫ টাকা।
একই হারে কুষ্টিয়ায় বেড়েছে কাজল লতা চালের দামও। ৩২ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাজল লতা চাল। তবে আটাশ চালের দাম তেমন একটা না বাড়লেও প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়।
উত্তরাঞ্চলের ধান-চালের সবচেয়ে বড় মোকাম নওগাঁয় কিছুদিন আগে ৩৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া জিরাশাইলের দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আটাশ চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে ৩৪-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩০ টাকা, কাটারিভোগ ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে মোটা চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে।
হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ার জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, মিল মালিকরা দাম বাড়ানোর কারণে তারা বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে রশিদের মিনিকেটের দাম বাড়ানোর কারণে সবাই চালের দাম বাড়িয়েছেন। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কার্যকর নজরদারি না থাকায় একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম বস্তায় (৫০ কেজি) বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগে ৪২-৪৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা।
চিকন চালের পাশাপাশি বেড়েছে মোটা চালের দামও। এক সপ্তাহ আগে ৩৪-৩৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আটাশ চালের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা। ৩০-৩২ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া স্বর্ণা চালের দাম হয়েছে ৩৪-৩৬ টাকা।
খুচরার পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাইকারিতেও। পাইকারিতে প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকায়। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০-১৮০০ টাকা, নাজিরশাইল ২৩৫০-২৭০০ টাকায়।
চালের এই দাম বাড়ার আগে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে পেঁয়াজের দাম।