সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেছেন, সরকার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জীবন মান উন্নয়নে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের দেয়া সুবিধাগুলো গ্রহণ করে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী এগিয়ে যাচ্ছে।
তাদেরকে সহযোগীতা করতে সর্ব মহলকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কথা বলতে না পারলেও তাদের মেধা রয়েছে, এই মেধাকে কাজে লাগালে ভবিষ্যতে তারাও নেতৃত্ব দিতে পারবে।
তিনি গত ৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসকের হলরুম বাংলা ইশারা ভাষা দিবসে উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সিলেটের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায়।
বক্তব্য রাখেন সিলেট বধির কল্যাণ ও ক্রীড়া সংঘের সভাপতি মকসুদ আহমদ, সিলেট বধির সংঘের সভাপতি এম আহমদ আলী।
অনুষ্ঠান ইশারা ভাষায় উপস্থাপন করেন সরকারি বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু তাহের মোঃ ইবনে সাঈম খাঁন।
সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুণর্বাসন কেন্দ্র খাদিমনগর সিলেটের সহকারি ব্যবস্থাপক মোঃ লুৎফুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম, সাবেক সভাপতি আল-আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, বøাস্টের কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট ইরফানুজ্জামান, সরকারি মূক বধির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, গ্রীণ ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ)’র মহাসচিব-নির্বাহী পরিচালক মোঃ বায়জিদ খান, রহমানিয়া প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান শামসু প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ৫ জন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের মধ্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ইশারা ভাষা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে সরকার বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ চলছে।
শেখঘাট সরকারি বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলকে এসএসসি পর্যায়ে উন্নীতকরণে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অন্যান্য দফতর কাজ করছে।
Discussion about this post