ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধ, সরকার ঘোষিত লোডশেডিং কার্যকর করত জ্বালানী বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা প্রকাশ, গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের কাজ তরান্বিত করার দাবীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিরাট গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সরকারকে বহু আগ থেকেই কৃচ্ছতা সাধনের উদ্যোগে নেয়ার দরকার ছিলো।
এই বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধকরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিদ্যুতের ফাঁস ক্যাপাসিটি চার্জ। ৯ মাসে দেয়া হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত ৩ বছরে সরকার পরিশোধ করেছে ৫৩ হাজার ৮শত ৮৫ কোটি টাকা। এই সাথে ৩ বছরে বিদ্যুৎ খাত থেকে ৫৪ হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়েছে বলে সিলেট মিরর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেই অনেক কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। যা অত্যান্ত ভয়ানক এবং অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে।
বিদ্যুতের চাহিদ ১৬ হাজার মেগাওয়াট, অথচ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া মানে অর্থনীতির অপচয় যা দুর্নীতির সামিল। অবিলম্বে এই কেন্দ্রগুলোর সাথে চুক্তি বাতিল করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জোর দাবী জানান।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ সরকার বিদ্যুতের ঘোষিত লোডশেডিং কার্যকর হচ্ছে না। সীমাহীন লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে গ্যাসের অভাবে দেশের প্রধান প্রধান সারকারখানার উৎপাদন আজ বন্ধ। আগামী বোরো মৌসুমে কৃষি খাতে এর বিরাট প্রভাব পড়বে।
এমনিতে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের অবস্থা খুবই নাজুক। জরুরী ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুতের উন্নয়নের বিষয়ে দেশপ্রেমিক জ্বালানী বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দেশবাসী দেখতে চায়। তিনি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনে ধীর গতির তীব্র নিন্দা করে দুর্নীতি, অনিয়ম, অপচয় রোধ করতে হলে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ তরান্বিত করার জোর দাবী জানিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানী বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা এখন সময়ের দাবী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার জোর দাবী জানান।
গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম শিতাবের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মামুন রশীদ এডভোকেট, ডাঃ অরুন কুমার দেব, আমিরুল হোসেন চৌধুরী আমনু, বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরামের সভাপতি ইমাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইকবাল মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নুর আহমদ জুনেদ,
মহানগর হকর্স কল্যাণ সমবায় সমিতির সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ খোকন ইসলাম, ডাঃ টুনু মিয়া আনছারী, পিয়ার হোসেন, শাহজাহান আহমদ, যুবনেতা মুক্তাদির কিবরিয়া সিরাজী, আজিজুল ইসলাম, সন্তুষ দেব, আজহারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, অপু দাশ প্রমুখ।
Discussion about this post