এস এম মনিরুজ্জামান,বাগেরহাটঃবাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নে গুড়গুড়িয়া এলাকায় ডোঙ্গার খালের সুইচ গেটটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। গেটের পাচটি ফটক (দরজা) না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি। যার ফলে এলাকায় চাষীদের ইরি ধানের বীজ বপন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এতে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় কৃষকেরা। অত্র এলাকার লোকজন চিংড়ি মাছ চাষের পাশাপাশি ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে বিভিন্ন কারনে চিংড়ি চাষিরা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা ধান চাষের উপর আস্থাশীল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে সুইচ গেটের প্রবেশদার পানি ওঠা-নামার দরজাগুলো। চলতি মৌসুমে কৃষকের পানির প্রয়োজন না হওয়া সত্বেও এই দরজা গুলো দিয়ে জোয়ারের পানি এসে ফসলি জমি ডুবিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে কৃষকেরা ধানের চারা বপন করতে পারছে না। ফলে কেড়ে নিচ্ছে কৃষকের চোখের ঘুম। বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নির্মিত এই সুইচ গেট এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এই খালে বছরের অধিকাংশ সময় কচুরিপানা দিয়ে ভরা থাকে। এই কচুরিপানার কারনে এখানে পানি নিষ্কাশনেরও ব্যাপক সমস্যা হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলদার বলেন, ‘উক্ত সুইচ গেটের দরজা গুলো সংস্কার করার দায়ীত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে গেটের দরজা না থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কর্তৃপক্ষকে জানালে তা আমূলে নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় চাষীরা বিষয়টি তাকে জানিয়েছে কিন্তু এই সুইচ গেটটির মেরামতের অভিজ্ঞতা স্থানীয়দের না থাকায় এর সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। যার ফলে এলাকার কৃষকেরা খুবই বিপাকে পড়েছে।’
এ বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহনাজ পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং স্থানীয় জনসাধারণ যাতে আর ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।সুইচ গেটের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় চিংড়ি চাষি ও কৃষকেরা