বিশেষ প্রতিনিধিঃসৌদি আবরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে নারী শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। বিষয়টি দূতাবাস ও সরকারকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এমনকি পাকিস্তানের নারীদেরও সেখানে পাঠানো বন্ধ করেছে ওই দেশেগুলো।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক সমাজ’র ব্যানারে আয়োজিন এক সমাবেশ থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শেখ বাতেন, নারীপক্ষের সদস্য রওশন আরা, সমাজকর্মী জাকিয়া শিশির, আইনজীবী হাসনাত কাইউম, কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।
অধ্যাপক শেখ বাতেন বলেন, ‘সৌদি-ওমানসহ কয়েকটি দেশের মালিকরা নারীদের ওপর অত্যাচার করে। এ কারণে শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, মালেশিয়া এমনকি পাকিস্তানের নারীদেরও সেখানে পাঠানো বন্ধ করেছে ওই দেশেগুলো। সৌদি আরবে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ফিলিপাইন সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কৈফিয়ত চায়। অথচ আমাদের দেশের নারী নির্যাতনে ঘটনায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছুই করে না। তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি নির্যাতিত নারীরা। ফলে এ দেশের নারীরা অত্যাচার, যৌন-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এর জন্য দায়ী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।’
নারীপক্ষের সদস্য রওশন আরা বলেন, ‘আমাদের দেশের নারী শ্রমিকরা বিদেশে কাজ করতে গিয়ে যে নির্যাতনে শিকার হয়, তা সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে না। এমনকি বিদেশে যে দূতাবাস রয়েছে, তারাও কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। যে সকল দালালের মাধ্যমে নারীরা বিদেশে যাচ্ছে, তাদেরও মনিটরিং করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সকল নারী শ্রমিকদের নিয়ে যে সংগঠনগুলো মাঠে কাজ করছে, তারা এ বিষয়ে সরকারকে জানালেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না। যারা নারীদের বিদেশে পাঠাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। বিদেশে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে ভাবতে হবে।’
সমাজকর্মী জাকিয়া শিশির বলেন, সৌদি আরবে নারীদের উপর অত্যাচার দিন দিন আরও বেড়েই চলেছে। এরপর তো আর চুপ থাকা যায় না। সব কিছুরই একটি সীমা থাকে। একজন নারী বিদেশে যাবে কাজ করার জন্য। সেখানে সে অত্যাচার, ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে দেশে লাশ হয়ে ফিরে আসবে তা মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া দরকার।
Discussion about this post