৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃউন্নয়ন আর আধুনিকতায় অন্যরকম সৌন্দর্যে সেজে উঠছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে নগরীর সবচেয়ে দীর্ঘতম আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের প্রতিটি স্তম্ভ কৃত্রিম সবুজ ঘাসে মোড়ানো হচ্ছে। ফ্লাইওভারের স্তম্ভগুলো ইতিপূর্বে যেখানে নানা ধরনের পোস্টার-ব্যানারে ঢেকে নোংরা আবর্জনায় ভরপুর থাকত, সেসব স্তম্ভ এখন সবুজ ঘাসে নান্দনিকতা পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচেয়ে বড় ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নামের এই সর্বাধুনিক ফ্লাইওভারটিতে স্তম্ভ রয়েছে মোট ৯৩টি। এখন এসব স্তম্ভের প্রতিটি সবুজ কৃত্রিম ঘাস দিয়ে মোড়ানো হচ্ছে। ফ্লাইওভারের নিচে মাটিতে লাগানো হচ্ছে গাঁদা, জারুল, সন্ধ্যা মালতী, বেলিসহ নানা ধরনের ফুলগাছ। ফ্লাইওভারের নিচে সড়কের দুপাশ দিয়ে চলাচলের সময় নগরবাসী নগরীর এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন।
ফ্লাইওভারের প্রতিটি স্তম্ভ দেখেই যে কারো মনে হতে পারে রড-পাথরের পিলারে যেন ঘাস গজিয়েছে। বর্তমানে ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের ৯৩টি স্তম্ভে কৃত্রিম ঘাস লাগানো হলেও ক্রমান্বয়ে নগরীর চারটি ফ্লাইওভারের প্রতিটি স্তম্ভ এমন নান্দনিক সৌন্দর্যে সাজানো হবে বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় সিডিএ’র উদ্যোগে চট্টগ্রামে এখন ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। ব্যাপক উন্নয়ন ও নান্দনিক সৌন্দর্যে বদলে যাচ্ছে এই নগরী। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নগরীকে বিশ্বমানের সৌন্দর্যে সাজানো হচ্ছে। এমন নান্দনিক সৌন্দর্যে নগরীকে বদলে দিতে নগরীর দুই নম্বর গেট থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের টাইম স্কয়ারের মতো করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এই এলাকা এমন সুন্দর আর আলোকোজ্জ্বল করা হবে যাতে এখানে রাত-দিনের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। যান্ত্রিক শহরের মধ্যে বসবাস করেও নগরবাসী সবুজ প্রকৃতির মধ্যে বসবাসের অন্যরকম এখন অনুভূতি পাবে।
এমন নান্দনিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ফ্লাইওভারের প্রতিটি পিলারকে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বিশেষ কৃত্রিম ঘাস (সিনথেটিক টার্ফ) বসিয়ে সাজানো হচ্ছে। ফ্লাইওভারের নিচে গড়ে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের ফুলের বাগান। এসব বাগানের মধ্যে দিয়ে জনসাধারণের চলাচলেরও রাস্তা রাখা হচ্ছে। চলতি ২০১৮ সালের মধ্যেই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন আধুনিকতায় চট্টগ্রামকে ভিন্ন এক নান্দনিক সৌন্দর্যের নগরী হিসেবে নগরবাসী দেখতে পাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম।
Discussion about this post