বিশেষ প্রতিনিধিঃযুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮০তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে কাঁদলেন পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ। পুরো সভাকক্ষেই তখন এক আবেগঘন পরিবেশের তৈরি হয়।
৪ ডিসেম্বর, বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন শেখ ফজলে শামস পরশ।
গত ২৩ নভেম্বর যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ পরশ। এরপর বুধবারই প্র্রথম তিনি সংগঠনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য ‘অবৈধ উপার্জনে বিলাসী জীবন-যাপনের তুলনায় সৎ পথে থেকে নুন-ভাত খাওয়া অনেক সম্মানের’ উল্লেখ করে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান। এছাড়া সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল, যুদ্ধাপরাধীসহ দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে যুবলীগ কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমুখ।
শেখ সেলিম বলেন, ‘শেখ মনির হাতে গড়া এই সংগঠনে এমন কাউকে দলে স্থান দেওয়া যাবে না যাতে দুর্নাম হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে যুবলীগের প্রতিটি কর্মীকে সোনার ছেলে হয়ে উঠতে হবে। শেখ মনি তার ৩৫ বছরের জীবনে ৬ বছরের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। কোনো পদপদবির লোভ তার ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘সিরাজুল আলম খান বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। তারা গণবাহিনী তৈরি করে প্রতিবিপ্লবের নামে ব্যাংক ডাকাতি, লুটপাট ও হত্যার রাজনীতি চালু করেছেন। এর মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। ‘৬৬-এর শিক্ষা আন্দোলন থেকেই সিরাজুল আলম খানের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক।’
তিনি বলেন, ‘তারা ছাত্রলীগকে বিভক্ত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তাদের কারণে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে গেছে। ওই পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করে শেখ মনি বলেছিলেন, মোনায়েম খানের আমলাদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর ভূমিকারও সমালোচনা করেন।’
সভাপতির বক্তব্যে শেখ পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার বাবা শেখ ফজলুল হক মনি দেশ গড়ার কাজে সহায়তার জন্য আদর্শভিত্তিক যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যুবলীগকে সেই আদর্শ ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে চান। যুবলীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।