নিপারানী কর্মকার নামে এক হিন্দু মেয়ের পিতা হিসেবে তার বিয়ের যাবতীয় ব্যয় বহন করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুধু ব্যয় নয়, নিজে বিয়েতে উপস্থিত থেকে পালিত কন্যা নিপাকে সোনার গহনা পরিয়ে আশীর্বাদ করেন তিনি। শনিবার রাতে ঢাকাশ্বরী জাতীয় মন্দিরে নিপার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
এ সময় এরশাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সুনীল শুভ রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, নিপার জন্মদাতা পিতা নারায়ণ কর্মকারসহ নিপার কয়েক শতাধিক আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নিপারানী কর্মকারের পিতা হিসেবে এরশাদ নিজে মন্দিরে উপস্থিত হয়ে বিয়ে দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মন্দিরে ছুটে আসেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, সাধারণ সম্পাদক তাপস পাল, ঢাকা মহানগরের সভাপতি দিপেন চ্যাটার্জী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, সাবেক রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক, সুব্রত চৌধুরী, জে এল ভৌমিক, নারাযণ সাহা মনিসহ বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় তারা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার মহানুভতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
জানা গেছে, রাজধানীর তাঁতীবাজারের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে নিপারানী কর্মকার। তার জন্মদাতা পিতার নাম নারায়ণ কর্মকার। নারায়ণ কর্মকারের সঙ্গে এরশাদের সর্ম্পক দীর্ঘদিনের। আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিলেন না নারায়ণ কর্মকার। সেই সুবাদে নিপাকে ছোটবেলা থেকেই পিতৃস্নেহে বড় করেছেন এরশাদ। নিপাকে নিজ খরচে পড়াশুনা করিয়েছেন তিনি। একজন পিতা হিসেবে মেয়ের প্রতি যে দায়িত্ব পালন করা দরকার তার সবটুকুই করেছেন এরশাদ। সর্বশেষে শনিবার সোনা গয়না থেকে শুরু করে বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করে এরশাদ তার পালিত কন্যাকে স্বামীর ঘরে পাঠিয়েছেন।
Discussion about this post