১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাণ্ডের (বিএমডিএফ)অর্থায়নে নগরে এসব প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাকলিয়ায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিশ্বমানের স্পোটর্স কমপ্লেক্স, হালিশহরস্থ ফইল্যাতলী বাজারে ১০ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক কিচেন মার্কেট নির্মাণ, ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট কিচেন মার্কেট এবং ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড অফিসের জায়গায় বহুমুখী বহুতল মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা।
চসিক সূত্রে জানা যায়, এ চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএমডিএফ ১৫০ কোটি টাকার অর্থ সহযোগিতা প্রদান করেছে। ১৬৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের অবশিষ্ট অর্থ ১৫ শতাংশ হারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বহন করবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে আগামী ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে চসিক। শিগগরিই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব প্রকল্পে রয়েছে-সুপার সপ, কমিউনিটি সেন্টার, কনফারেন্স হল, ট্রেনিং রুম, ডে-কেয়ার সেন্টার, বিউটি পার্লার, খেলার মাঠ, গ্রাউন্ডস্ট্যান্ড, টিকেট বুথ, ওয়াকওয়ে, গ্যালারিসহ নানা সুযোগ সুবিধা।
রোববার (২২ জুলাই) চসিকের ৫ম নির্বাচিত পরিষদের ৩৬তম সাধারণ সভার সভাপতি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
চসিকের কে বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে সভায় অর্থ ও সংস্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, হিসাব নিরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ, নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ, পানি ও বিদ্যুৎ, সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার, পরিবেশ উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, যোগাযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আইন শৃংখলা এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানরা স্ব-স্ব স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী উপস্থাপন করা হয়।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন কোরবানির ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ঈদের দিন বিকাল ৪টার মধ্যে পুরো নগরে কোরবানীর দিন জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং ঈদের পরের দিন শেষ রাত পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণের লক্ষে ৪১টি ওয়ার্ডকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম-৪টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোন তদারকির জন্য একটি করে ‘উপ-কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে চসিকের ১৪ জন করে পরিচ্ছন্ন কর্মী সার্বিক দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নিশ্চিত কল্পে কোরবানি ঈদের দিন সকাল ৯টার মধ্যে দায়িত্বে নিয়োজিত স্থায়ী ও অস্থায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্ব স্ব ওয়ার্ডে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সমস্ত কার্যক্রম ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা তদারকি করবেন।
এছাড়াও আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদার সাথে পালন করা হবে। এ লক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলেও জানান সিটি মেয়র।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিস্তারিত আলোচনায় জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যবিরণী সমূহ অনুমোদন ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় নির্বাচিত পরিষদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, অফিসিয়াল কাউন্সিলরসহ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।