মোঃ ফারুক হোসেনঃফেসুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে, তিন বছর ফেসবুকে প্রেম করে নিজ সংসার হারালেন দুই বাচ্চা মা লায়লা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধু। শরীয়তপুরের জাজিরা থানাধীন গঙ্গানগর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা ও ভূক্তভুগির পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের হামগাঁও এলাকার আঃ খালেক মুন্সীর মেয়ে লায়লা আক্তার (৩০) এর সাথে একই উপজেলার চরখোরাতলা কাইয়ূম বেপারীর সাথে বিয়ে হয় প্রায় তের বার বছর আগে। তাদের সংসারে এগারো ও আট বছরের দুইটি ছেলে সন্তান আছে। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ দিন যাবৎ
স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় লায়লা বাবার বাড়ি বসবাস করতে থাকে। এরি মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সুজন দোয়াল গ্রাম এলাকার লাল মিয়া ফকিরের ছেলে মোঃ রোমান ফকির (৩৪) সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মেয়েটির।
প্রায় তিন বছর ধরে মেয়েটির সাথে পরকীয়া করতে থাকে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্প্রর্ক করে। বুধবার ২০ নভেম্বর রাতে মেয়েটির বাসায়, ছেলেটি প্রবেশ করে শারীরিক সর্ম্পেকে লিপ্ত হয়।
পাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি দেখে তাদেরকে আটক করে। ছেলেটির পরামর্শে মেয়েটি পরেরদিন সকালে তার স্বামীকে তালাক দেয়। তালাক দেয়ার পর ছেলেটি, মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানায়। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে জাজিরায় থানায় একটি ধষর্ণ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত নোমান বলেন, লায়লার সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়ে সম্পর্ক হয়। সেদিন আমি লায়লার সাথে দেখা করতে তার বাসায় গেলে বাড়ির লোকজন আমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ভিক্টিম লায়লা বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে নোমানের সাথে আমার প্রায় তিন বছর আগে পরিচয় হয় এক পর্যায় প্রেমের সম্পর্ক ঘটে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক ঘটায়। তার কথা মতে আমি আমার স্বামীকে তালাক দেই। কিন্তু এখন সে আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়।
জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আজাহারুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, এবিষয়ে বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে ধষর্ণ মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।