৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃচট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি আয়োজিত ৫ম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা “ইওঞঊঋ-২০১৮” উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইটিইএফ-২০১৮ এর কনভেনার মোহাম্মদ আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া সহ পরিচালক মো: আব্দুল আউয়াল, শফিক উদ্দিন, প্রফেসর আহসানুল আলম পারভেজ,এইচ. এম. হাকিম আলী, হাজী এম.এ. মালেক, ডব্লিউ আর.আই. মাহমুদ (রাসেল), দিদারুল আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. সোলায়মান, এফসিএমএ এবং শোভন এম. সাহাবউদ্দিন (রাজ), জিএম, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, বিএসআরএম।
উদ্বোধনী ভাষনে সভাপতি খলিলুর রহমান চেম্বারের পরিচালক, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বিগত বছর গুলোতে গণমাধ্যম যে ভাবে মেলার প্রচার প্রসারে খবরাখবর পরিবেশন করে মেলাকে সফল করেছেন, একই ভাবে এবারও তাদের সর্বাত্মক সহযোগিত অব্যাহত রাখবেন। মেলার কনভেনার মোহাম্মদ আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করেন ।
তিনি২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমাদের মেট্টেপলিটন চেম্বারের উদ্যোগে হালিশহর আবাহনী মাঠে জাঁকজমকপুর্ন ভাবে বাণিজ্য মেলা করে এসেছি। যাতায়ত এবং যোগাযোগের অসুবিধার কারণে এবার চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন মেরিনার্স রোড সংলগ্ন মাঠে বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
দেশীয় শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শন ও স্থানীয় চাহিদা সৃষ্টি সহ বিদেশের বাজারে রপ্তানীর ক্ষেত্রে এই বাণিজ্য মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই বিবেচনায় এই বাণিজ্য মেলার আয়োজন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। উন্নয়নে যাত্রা পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এই আমাদের প্রত্যাশা। মেলায় ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায়১০/১২টি মেগা প্যাভিলিয়ন,স্টল বিদেশী বেশ কয়েটি স্টল তাদের পন্যর পসরা প্রদর্শন করবে বলে মেলার কনভেনার মোহাম্মদ আমিনুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান।
আগামী ১৫ডিসেম্বর, শনিবার সকাল ১১টায় সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন মেলার উদ্বোধন করবেন। মেট্টোপলিটন চেম্বারের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের আয়োজিত বাণিজ্য মেলার সকল কার্যক্রম পরিপূর্ণ ভাবে সফল হোক এই কামনা করছি। মাসব্যাপী এই বাণিজ্য মেলায় বিদ্যুতের পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।মেলায় আগত পরিবার-পরিজনদের সাথে শিশু কিশোরদের জন্য চিত্ত-বিনোদনের কথা চিন্তা করে ‘‘কিডস জোনে’’ নানা বিধ বিনোদন মূলক ব্যবস্থা রয়েছে।
বিদেশে দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মেলা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ গণমান্য ব্যাক্তিদের মেলা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ১ম, ২য় ও ৩য় বিবেচিত বুথ ও প্যাভিলিয়নকে বিশেষ পদক প্রদান এবং মেলায় অংশ গ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।
কর্ণফুলী নদীর তীরে মেরিনার্স্ রোড সংলগ্ন চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন জায়গায় বাণিজ্য মেলার নতুন ভেন্যুতে মেলার কার্যক্রম পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনের পর্দায় প্রচার ও প্রকাশে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
Discussion about this post