মোঃ মহিউদ্দীন সিকদার এসফাক:চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে বাঁশখালী উপজেলার সুদীর্ঘ ৩৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই সমুদ্র সৈকত বিস্তৃত।এই সমুদ্র বাঁশখালীর একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র।বাঁশখালীর ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, বাহারছড়া, খানখানাবাদের উপকূল জুড়ে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে এই সৈকতের অবস্থান।
বর্তমানে সমূদ্র সৈকতে বেড়ি বাঁধের নির্মাণ কাজ হয়েছে।চট্টগ্রাম বন্দর এর অনেক জেটি এইখানে অবস্থিত।
একটা সময় সমুদ্র সৈকত বলতে শুধু কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বোঝানো হলেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই বাঁশখালীর সমুদ্র সৈকতও।একদিকে ঝাউবনের সবুজের সমারোহ, আরেকদিকে নীলাভ সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি আপনাকে স্বাগত জানাবে। আর সমুদ্র তীরের মৃদুমন্দ বাতাস আপনার মনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে দেবে নিমেষেই।আর এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে লাল কাঁকড়া। যদি খুব সকালে সৈকত যাওয়া যায় তবেই দেখতে পারবেন ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়া। সমুদ্রের ভেজা বালির উপর লাল কাঁকড়া দেখলে লাল কার্পেটের মত লাগে। এই লাল কাঁকড়া সৈকতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
একটা সময় এই সমুদ্র সৈকতে যাবার রাস্তাটি খুব উন্নত ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে এখানে ভ্রমণপিপাসুদের আনা-গোনা বেড়ে যাওয়াতে কর্তৃপক্ষ রাস্তাটিকে সংস্কার করে ঝকঝকে করে তুলেছে। কিন্তু এখনো জোরদার করা হয়নায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সমুদ্র সৈকতের সাথেই ঝাউবনের ছায়াতলে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকানসহ অনেক দোকান-পাট।এছাড়া রয়েছে সমুদ্রে তীরেই ঘুড়ে বেরানোর জন্য সী-বাইক আর ঘোড়া।যাতায়াত, অবকাঠামোসহ সবদিক বিবেচনা করে বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
কিভাবে যাওয়া যায়: প্রথমে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু বা নতুন ব্রিজ যেতে হবে। সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজিতে বা যে কোন বাহনে গুনাগারি বাজার, গুনাগারি বাজার থেকে যে কোন বাহনযোগে বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায়।
ফাইল ফটো
Discussion about this post