৭১বাংলাদেশ ডেস্কঃবাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় এর উদ্বোধন করেন। পরে নৌবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ট প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বিশাল সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ সমুদ্রে নৌবহরের সকল অপারেশনাল কার্যক্রমকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ট প্রদান করা হয়।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক এই কমপ্লেক্সটি ১৬টি পৃথক ভবন ও অবকাঠামোর সমন্বয়ে নির্মিত। এতে একাডেমিক ভবন, ট্রেনিং উইং, ওয়ার্ডরুম, প্যারেড গ্রাউন্ড, সুইমিং পুল, বোট পুল ও বাসস্থানসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এতে সংযুক্ত করা হয়েছে সী-ম্যানশীপ, এন্টি সাবমেরিন, গানারী ও কমিউনিকেশন মডেল রুম, চার্ট রুম, সুপরিসর লাইব্রেরি, কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব এবং আধুনিক অডিটোরিয়াম। এছাড়া বিজ্ঞান ও কারিগরি প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে সাতটি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানাগার।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় উন্নয়ন ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় একটি শক্তিশালী ও আধুনিক নৌবাহিনীর গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন। আর তাই স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে তিনি যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বানৌজা ঈসা খানসহ তিনটি নৌবাহিনী ঘাঁটি কমিশনিং করার মাধ্যমে নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রার সূচনা করেন। প্রথমে স্বতন্ত্র নেভাল একাডেমি বানৌজা ঈসা খানের অভ্যন্তরে ছিল। পরবর্তীকালে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে কর্ণফুলীনদীর মোহনায় বর্তমান নেভাল একাডেমি পুরোদমে কাজ শুরু করে।
নেভাল একাডেমি কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর দুপুরে বানৌজা ঈশাখানে বিএন ডকইয়ার্ডকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ট প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজসহ সামরিক সরঞ্জাম ও সাবমেরিনের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং আধুনিকায়নের জন্য বিএন ডকইয়ার্ড সর্বোচ্চ দেশপ্রেম ও পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শন করছে।
১৯৭২ সালে কেবল একটি শেডে অল্পসংখ্যক সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিএন ডকইয়ার্ডে এখন ২৪টি ওয়ার্কশপ পরিচালিত হচ্ছে প্রায় ২ হাজার সামরিক-বেসামরিক জনবল দিয়ে। বিএন ডকইয়ার্ডের নিজস্ব ফ্লোটিং ডক ‘বিএনএফডি সুন্দরবন’ যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশি-বিদেশি ৭০৭টি যুদ্ধজাহাজের সফল ডকিং ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বিএন স্লিপওয়ে প্রায় ৩৬২ জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন করেছে।,