মোঃ ফয়সাল এলাহীঃ সদ্যসমাপ্ত মার্চেও কন্টেইনার ওঠানো – নামানোর রেকর্ড ভাঙলো। এসময়ে মোট ২,৫৪,১৯৮ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। এটাই এযাবতকালে এক মাসের সর্বোচ্চ। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, নতুন কিছু যন্ত্রপাতি সংযোজন, ইয়ার্ড এলাকা সম্প্রসারণ, বন্দর ফটকে কন্টেইনার স্ক্যানিং দ্রুততর হওয়া ইত্যাদি কারণে সম্ভব হয়েছে রেকর্ডভাঙা কন্টেইনার হ্যান্ডলিং। বন্দরের ট্রাফিক শাখার তথ্য অনুসারে ইতিপূর্বে একমাসে সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং রেকর্ড ২,৪৯,৫৫২ টিইইউস। গত ডিসেম্বরে হয়েছিল এই রেকর্ড। গত বছরে বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক কন্টেইনার ওঠানো–নামানো হয়েছে। এই সংখ্যা ২৫,৬৬,৫৯৭ টিইইউস। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩,৪৬,৯০৯ টিইইউস। বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে কন্টেইনারের ব্যবহার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময় মূল্যবান পণ্য কন্টেইনারে আনা হলেও এখন চাল–ডালও আনা হচ্ছে। কন্টেইনারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বন্দরের ওপর চাপও বাড়ছে। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সাময়িকী ‘লয়েডস লিস্ট’ এর ২০১৬ সালের জরিপে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কন্টেইনার বন্দরের মধ্যে ৭১তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। এগিয়েছে ৫ ধাপ। কন্টেইনার ওঠানামা বিবেচনায় ২০১৪ সালের ৮৭তম অবস্থান থেকে এক লাফে ৭৬তম স্থানে ওঠেছিল ২০১৫ সালে। ২০১৭ সালের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বিবেচনায় আরও ওপরে ওঠবে বলে বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন ।
Discussion about this post