নুর আলমঃচট্টগ্রাম আনোয়ারা থানাধীন ২ নং বারশত ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবুল কালাম এর কন্যা আনজু বেগমকে বিবাহ করেন চট্টগ্রাম নগরীর টায়গারপাস বাসিন্দা ভ্যান চালক আবুল কালাম। মৃত আনজু বেগমের স্বামী (চালক) আবুল কালাম বলেন তার স্ত্রী অভিমান করে গত ৪ ই মার্চ ২০২০ইং রাত আনুমানিক ১১ টার সময় কীটনাশক ওষুধ পান করে আত্মহত্যা করেছে।
আমার শ্বশুর আবুল কালাম আমাকে ভূল বুজে আমার বিরুদ্ধে মাননীয় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং আমি জামিনে আছি ।
টায়গারপাস আবুল কালামের প্রতিবেশীরা জানান আনজু বেগম প্রায় সময় আবুল কালাম এর সাথে ঝগড়া ঝাঁটিতে লিপ্ত থাকতো এবং আনজু বেগম উগ্র মেজাজি ছিল ।
২ নং বারশত ইউনিয়নের (কবিরার দোকান) এলাকার জমির উদ্দীন মেম্বার আবুল কালামের (চালক) নানা সোবাহান থেকে উভয় পরিবারের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেবে বলে পাচঁ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সোবাহান বারংবার জমির মেম্বারকে পরিবারের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বললে জমির মেম্বার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেনি এবং এড়িয়ে যেতে থাকে।সোবাহান এবং আবুল কালাম (চালক) উক্ত বিষয়টি নিয়ে ২নং বারশত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ.কাইয়ুম শাহ কে ঘটনাটির বিস্তারিত জানান।
গত ১৬ ই অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় চেয়ারম্যান এর নিজ কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশী বৈঠক হয়, এক পর্যায়ে (চালক) আবুল কালামের নানা সোবাহান, চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করে বলেন,জমির মেম্বার তার নিকট থেকে পাচঁ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বৈঠক এর মাধ্যমে তাহাদের দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে একথা শুনে সাথে সাথে উপস্থিত সকলের সামনে কাইয়ুম চেয়ারম্যান জমির মেম্বার থেকে পাচঁ হাজার টাকা আদায় করে সোবহান কে বুঝিয়ে দেন ।
চেয়ারম্যান আরো বলেন আমার ইউনিয়নে টাকা নিয়ে বিচার করা বা মীমাংসা করা এ ধরনের কোনো মেম্বার থাকতে পারবে না ।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডে লিপ্ত হলে ইয়াসিন (৪) এর পিতা আবুল কালাম (চালক) চেয়ারম্যান কে আকুতি মিনতি করে বলেন আমার সন্তান বর্তমানে তার নানার বাড়িতে রয়েছে এবং আমি আমার সন্তানকে নিজ বাড়িতে ফিরে নিতে চাই।
কাইয়ুম চেয়ারম্যান বলেন যেহেতু আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে এ বিষয়ে মীমাংসা করা আমার পক্ষে সম্ভব না এবং ইয়াসিনের পিতা আবুল কালাম কে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনি যদি আপনার বাচ্চা ফিরে পেতে চান আপনি মাননীয় আদালত এর আশ্রয় নিন এবং তিনি আরো বলেন ইয়াসিনের বয়স যেহেতু কম সেহেতু সব বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ড করে কোন ফায়দা হবে না।
এখানে আমার হস্তক্ষেপ করার মত কিছুই নেই চেয়ারম্যান এ কথা বলেই উক্ত বৈঠকের সমাপ্তি করেন ।
Discussion about this post