রামিম দেওয়ানঃগত ২০১৮ -২০১৯ অর্থ বছরে জেলা মৎস কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ নামে মৎস অধিদপ্তরের আরডি প্রকল্পের আওতায় জলাশয় সংস্কার প্রকল্প সহ এন.টি.পি-২ (NATP-2) সি আই জি (CIG) আরডি (RD)নামক বিভিন্ন প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি মাধ্যমে সাধারণ জেলেদের ও খেটে খাওয়া হতদরিদ্র দিন মজুর জনগোষ্ঠীর হক পয়মাল, ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে প্রায় ৩ কৌটি ৫৫ লক্ষ টাকা সুকৌশলে আত্মসাৎ করিয়াছেন মর্মে অভিযোগ এনে মোঃ আব্দুল হামিদ নামক একজন সাধারণ মৎস জীবি বাদী হয়ে নওগাঁ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বাংলাদেশ দন্ড বিধি আইনে ৪০৯ তৎসহ ১৯৭৪ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং -২ (পি) ২০১৯।
মামলায় অভিযোগ পত্রে বাদি মোঃ আব্দুল হামিদ নওগাঁ জেলা মৎস কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদকে একজন দুর্নীতি পরায়ন, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে মৎস জীবি আব্দুল হামিদ আরও বর্ণনা করেন, প্রকল্পের পরিচালক মহোদয় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দ্বারা মাটির কাজ করার জন্য প্রতি বরাদ্দের কপিতে বরাদ্দকৃত টাকা শ্রমিকের পারিশ্রমিক পরিশোধের জন্য বরাদ্ধ দিয়েছেন। যাহা বরাদ্দ কপিতে উল্লেখ আছে। কিন্তু কোন প্রকল্পেই শ্রমিক দিয়ে কাজ না করিয়ে স্কেভেটর / ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খননের কাজ চলেতেছে।
পরবর্তীতে বিষয়টি গনমাধ্যম পর্যন্ত গড়ালে, গত বছর দৈনিক জনকন্ঠ, প্রতিদিনের সংবাদ, দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকা সহ বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে নওগাঁ মৎস অধিদপ্তরের আর ডি প্রকল্পে ব্যাপক অনিমের অভিযোগ শিরনামে ভেকু দ্বারা খনন কাজের ছবি সহ খবর প্রকাশিত হয়।
এদিকে আদালত কর্তৃক মামলার তদন্তভার দুর্নিতি দমন কমিশন(দুদক) রাজশাহীর নিকট হস্তান্তর করা হলে, সরদার আবুল বাসার উপসহকারী পরিচালক দুর্নিতি দমন কমিশন রাজশাহীকে তদন্ত অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
উল্লেখ’ মৎস জীবি আব্দুল হামিদের দেওয়া তথ্য মতে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের ৯ তারিখে আদালত কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর তদন্তের নির্দেশনা থাকলেও ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রায় ১ বছর পর সরজমিন তদন্তে আসেন সরদার আবুল বাসার। এই সময় গনমাধ্যম কর্মিদের প্রশ্নে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে ও প্রশ্নের প্রতি উত্তরে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
তবে তদন্ত চলাকালিন সময় প্রকল্পের এলাকার সাধারণ মানুষ সংবাদ কর্মিদের জানান, তারা এখানে ভেকু দ্বারা খনন কাজ করতে দেখেছেন।
এব্যাপারে জেলা মৎস কর্মকর্তার( বর্তমান ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে জেলা মৎস ভবন নওগাঁয় তার নিজ কার্যালয়ে দেখা করে প্রকল্পের মাস্টারোল ও প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে তিনি বলেন যেহেতু দুর্নিতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তদন্ত চলমান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোন প্রকার তথ্য প্রদান সম্ভব নয় বলে তিনি জানান ।
তবে সংবাদ কর্মিগন পরবর্তীতে তথ্য ফরম (ক) প্রদান পূর্বক প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য জেলা মৎস কর্মকর্তার নিকট আইনানুগ আবেদন করেন।