অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ এক ভিখারিকে গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। তবে পেশায় ভিখারি নয়, মোঃ শাহেদ ওরফে ভিখারি নামে ২৫ বছর বয়সী এই যুবক অত্যন্ত ধূর্ত ও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। ডবলমুরিং থানার শীর্ষ এই মাদক ব্যবসায়ীর একটি কিশোর গ্যাংও আছে। তার বিরুদ্ধে বা মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেই লেলিয়ে দেয় এই গ্যাং।
১৩ জুন, রোববার ভোরে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ পানওয়ালা পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভিখারিকে গ্রেফতারের পর তার সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। শৈশব খুব আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যায় শাহেদর। তাই তার বন্ধুরা তাকে ভিখারি নাম দেয়। কিন্তু এখন সেই বন্ধুরাই তাকে ‘বস’ ডাকে। তার বাহিনীর কয়েক সদস্য তারই বন্ধু।
বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক এনে আগ্রাবাদ এলাকায় বিলি করত শাহেদ। এই মাদক বিক্রির জন্য তার আলাদা ১২ থেকে ১৪ জনের দল আছে। সর্বশেষ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী কমিটি করায় কমিটির সদস্যদের উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ভিখারি বাহিনী। এতে ২ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়।
পুলিশের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ভিখারি দুইটি বিয়ে করে এবং তার একাধিক বান্ধবী আছে। এসব বান্ধবীকে তার প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ব্লেড দিয়ে বুক কেটে তাদের নাম লিখত সে! আবার সেই বান্ধবীদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে, সুযোগ বুঝে ঘরে এনে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয় সে |
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহসীন জানান, তার বেতনভুক্ত বেশ কয়েকজন কর্মচারী আছে, যাদের দায়িত্ব পুলিশ এলেই তাকে তথ্য দেওয়া। এ কারণেই তাকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫বার গ্রেফতারও হয়েছে। তার দলের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে পানওয়ালাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১টি এলজি, ১ রাউন্ড কার্তুজ ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে সহ তার ৩ জন পলাতক সহযোগীর বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক আইনে ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
Discussion about this post