কুমিল্লার দেবীদ্বারে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধরে নিয়ে নিজ বাসায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোঃ সুজন(২৫) নামে এক সিএনজি চালককে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেবীদ্বার পৌরসভার হিলফুল ফুজুল স্কুলের পূর্বপাশে মোহনা আবাসিক এলাকার অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান শেলী’র পাঁচতলা ভবনের নিচ তলার ভাড়াটিয়া মাদকাসক্ত সিএনজি চালক সুজন মিয়ার বাসায়। আটক সুজন মিয়া উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ৮বছর বয়সী এক কণ্যাশিশু ওই বাসায় বিলেবু আনতে গেলে সুজনমিয়া তাকে জোর করে ধরে নিয়ে তার বাসার একটি
কক্ষে আটক করে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করায় পাশের বাসার লোকজন দরজায় নক করলে সূজন দরজা খুলতে গেলে মেয়ে শিশুটি দোড় দিয়ে পালিয়ে পাশের বাসায় আশ্রয় নেয় এবং ঘটনাটি খুলে বলে।
স্থানীয়রা সুজনকে আটক রেখে পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মোরশেদ আলম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সুজন ও ভিক্টিম শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাসার কয়েকজন ভাড়াটিয়া অভিযোগ করে বলেন, সুজন পেশায় একজন সিএনজি চালক। প্রায় দেড় বছর আগে সুজন বাসাটি
ভাড়া নেয়। বাসায় সে তার স্ত্রিকে নিয়ে থাকতো।
একই এলাকার সিফাত হোসেন জানান, সুজন শুধু মাদক সেবকই ছিলেন না তিনি মাদক বিক্রি করতেন, পুলিশ তার ঘর তল্লাসীর সময় মাদক সেবনের সামগ্রী তার বিছানার পাশে পেয়েছেন।
জিঞ্জাসাবাদে সুজন জানায়, মাদক বিক্রি করতোনা, কোম্পানীগঞ্জ থেকে গাঁজা এনে সেবন করতেন। ভিক্টিম শিশু(৮) জানান, সে প্রায়ই এ বাসা থেকে বিলেবু নিতে আসতো।
ঘটনার সময় তাকে ধরে নিয়ে রুমে আটকে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তখন তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে। সে আরো জানায়, তাদের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার সাবের বাজার এলাকায়।
বাবা রতন মিয়া সাবের বাজার, কংশনগর বাজার, দেবীদ্বার বাজারে মাছ বিক্রি করেন। মা’ হাছিনা বেগম তিন বছর ধরে ওমান প্রবাসী আছেন।
১ভাই ও ৪বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। দেবীদ্বার পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া ফুলগাছ তলায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তার ভাই শরীফ(১৫) বাবার সাথে মাছ ব্যবসায় সহযোগীতা করেন।
মোহনা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও দেবীদ্বার পৌর ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান খোকন বলেন, সংবাদপেয়ে তাকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করি। ঘটনার সময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) ছমিউদ্দিন এর সাথে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টায় সেল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এখনো
মামলা হয়নি, বিষয়টি তদন্তাধিন। ভিক্টিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে আগ্রহী হলে রাতে মামলা হতে পারে।
