আওয়ামী লীগের নারীবিষয়ক উপকমিটি থেকে ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বহিস্কার/অব্যাহতি দেয়ার খবরে এবার নিজের পূর্বের অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলেন আলোচিত সমালোচিত ব্যবসায়ী হেলানা জাহাঙ্গীর। এক ফেসবুক বার্তায় তিনি জানান, চাকরিজীবি লীগ সম্পর্কে তার বেশি কিছু জানা নেই।
রবিবার (২৫শে জুলাই) রাত ১২টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ‘চাকরীজীবি লীগ’ এর সাথে নিজের কোন সম্পৃক্ততা না থাকার কথা জানান হেলানা জাহাঙ্গীর।
ফেসবুকে হেলেনা জাহাঙ্গীর লিখেন “আমি আওয়ামী চাকরীজীবি লীগের সাথে কোন সম্পৃক্ততা ছিল না,এখনো নেই।আমি কোথাও কি লিখেছি আমি আওয়ামী চাকরীজীবি লীগের সাথে সম্পক্ত? আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে সভাপতি হতে আমি বলেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে আমি সভাপতি হবো।এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। আর আমার জীবনে আমি কখনো কোন শৃংখলা ভংগ করিনাই করার প্রশ্নই আসেনা।একটা কুচক্রী মহল মিথ্যা ও বানোয়াট সাজানো নাটক দিয়ে নোংরামি করার অপচেষ্টা মাত্র।”
এর আগে শুক্রবার হেলেনা জাহাঙ্গীর তার ফেসবুকে লিখেন:
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আর সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের আওয়ামী চাকুরীজীবি লীগ। নামটি অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও এটি বেশ অনেকদিন ধরে কাজ করা একটি সংগঠন।এটির বয়স প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর।অনেক দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী।বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৩২ জেলায় অফিস সহ কমিটি দেওয়া হয়েছে।এই মুহুর্তে এই সংগঠনটির সদস্য লক্ষ লক্ষ। অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী,পুলিশ,সেনাবাহিনী,ব্যাংকার,বেসরকারি অনেক চাকরিজীবিরা এখানে আছেন। প্রচার প্রচারণা নেই হয়তো এই জন্য অনেকের অজানা। কিছুদিনের মধ্যেই সবাই জেনে যাবেন।কারন প্রতিদিন জুম মিটিং এর মাধ্যমে আগামীর কার্যক্রম আলোচনা চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত সহায়তাকারী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে
Discussion about this post