চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে পক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
নওশের আলী মোল্লা গনমাধ্যমকে বলেন রুলের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা আকারে তথ্যাদি আদালতে দাখিল করেছে দুদক। চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ অন্যান্য অভিযোগের ওপর দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচার করার অভিযোগ সহ তাঁর ছেলেমেয়েদের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব থাকলে, সেসব ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্যাদি জানতে চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে তল্লাশিপত্রও পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করে ফল না পেয়ে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ওই রিট করেন হাসান আলী।
রিটে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
Discussion about this post