কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সকাল ১১টায় টিক্কারচর শ্মশানে একই ঘটনায় নিহত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহ এর মরদেহ সৎকার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বাদ জোহর নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া শাহী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা। তার জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। জানাজার ইমামতি করেন কাউন্সিলর সোহেলের ছেলে হাফেজ মো. নাদিম।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১১টার দিকে সোহেলের মরদেহ নগরীর পাথরিয়াপাড়া পানুয়া খানকা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় শেষ দেখা দেখতে ছুটে আসেন স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কাউন্সিলর সোহেলের জানাজায় উপস্থিত হয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, সোহেল ও হরিপদের হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার ভেতর ভেতরে গ্রেফতার করতে হবে। কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ঘটনার শুরু থেকে সব কিছু খবর রাখছেন। তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন তা পালন করব।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, কাউন্সিলর সোহেল খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
কাউন্সিলর সোহেলের ছেলে হাফেজ মো. নাদিম বলেন, আমার বাবার জনপ্রিয়তার কারণে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। যারা আমার বাবাকে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের দীর্ঘ দিনের সহযোগী হরিপদ সাহাকে টিক্কারচর শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। এ সময় এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন। এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো ৪জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
Discussion about this post