৭১ বাংলাদেশ প্রতেনিধিঃ পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
সূত্র জানায় কারাগারে পাঠানোর পরও থেমেই নেই ধর্ষক। কারাগারে বসেই নির্যাতিত পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। সেইসঙ্গে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে ধর্ষকের আত্মীয়-স্বজন ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দিচ্ছে।
এতে ওই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ধর্ষক জান্নাতুল বাকী জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামের সোলাইমানের ছেলে এবং বর্তমানে ধর্ষণ মামলায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের অভিযোগ, মামলা দেয়ার পর ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন তাদেরকে প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ৮ মার্চ জান্নাতুল বাকী ওই ছাত্রীকে কোটবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও করে রাখে।
পরে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। এতে ছাত্রীর বাবা বিষয়টি ধর্ষকের বাবাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকে জানিয়ে বিচার দাবি করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বলেন, এ ঘটনার বিচার দাবি করার পর ধর্ষকের বাবা ও তাদের লোকজন গত শুক্রবার অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। সেইসঙ্গে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়। ওইদিন রাতে আমার মেয়ে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ধর্ষক জান্নাতুল বাকীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ধর্ষকের প্রভাবশালী বাবা ও তাদের লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মামলা তুলে না নিলে এলাকাছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমরা অসহায়। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে আমার পরিবার।এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষক জান্নাতুল বাকীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। যদি কেউ ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেইসঙ্গে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।