স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রিকশায় করে কেনাকাটা করতে মার্কেটে যাচ্ছিলেন গার্মেন্টসকর্মী আবু তালেব। কিন্তু কিছুদূর যেতেই পিছন থেকে লরির ধাক্কায় রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন রাস্তায়। আর এসময় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে জীবনের প্রদীপ নিভে যায় আবু তালেব ও তার ৯ মাসের শিশু সন্তান আবদুল আল মোমিনের।
সূত্র জানায় সড়কের বেহাল দশা ও ড্রাইভারের বেপোরোয়া গতিই কেড়ে নিল একই পরিবারের বাবা ও ছেলের জীবন। স্থানীয়রা বলছেন, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে নিমতলা পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। যত্রতত্র বড় বড় গর্ত তারপরে আবার আয়তনের পাশেও কম আবার সড়কের মাঝখানে নির্মানাধীন ওভারব্রীজের কারনে সড়কের এ বেহাল দশা। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে এগারটার দিকে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায়।
নিহতরা হলেন-বরগুনা জেলার পাথরঘাটা গ্রামের আবু তালেব ওরফে প্রকাশ (২৭) ও তার ৯ মাস বয়সী শিশুসন্তান আবদুল আল মোমিন। এসময় আহত হয় বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহিদ (৪)। গার্মেন্টসকর্মী মোমিন পরিবার নিয়ে বন্দরটিলা এলাকার আকমল আলী রোডের মনির বিল্ডিংয়ে থাকতেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সাধারণ মানুষ।পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, পরিবারসহ ঈদের শপিং করতে যাওয়ার পথে তাদের রিকশাকে লরিটি ধাক্কা দিলে বাবা ও শিশুটি লরির পিছনে চাকায় পিষ্ট হয়, এতে তারা উভয়ের মাথা থেঁতলে যায়।
Discussion about this post