অনুপ সেন (৫৬) শনিবার রাতে স্ত্রী ও সন্তানসহ সিএনজি অটোরিকশা যোগে কোতোয়ালী এলাকায় নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন। বাসার সামনে এসে তিনি সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামেন।
সিএনজি চালক ভাড়া না নিয়ে অনুপ সেনের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ব্যাগে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ছিল।
দিশেহারা হয়ে অনুপ সেন এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত সিএনজিটি শনাক্ত করে পুলিশ।
‘আমার গাড়ী নিরাপদ’ অ্যাপসের সহায়তায় ওই সিএনজি অটোরিকশা চালক মতিন মিয়াকে রোববার (১৫ মে) দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিএনজি চালক কে চট্টগ্রামের নতুন রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ সময় চোরাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার মতিন মিয়া গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানা এলাকার মো: মমতাজের ছেলে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, চোরাইকৃত মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মতিন একেক সময় একেক ধরণের কথাবার্তা বলতে থাকে। সে কখনো ব্যাগটি তার দেওয়ানহাট এলাকার বোনের বাসায়, আবার কখনো তার বন্ধুর বাসা আকবরশাহ এলাকায়, আবার কখনো তার বন্দরস্থ আত্মীয়ের বাসায় রেখেছে বলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে এবং ওই স্থানগুলোতে ঘুরাতে থাকে।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সে স্বীকার করে উক্ত চোরাই মালামাল তার বর্তমান ঠিকানার বাসা তথা বায়েজিদ থানার চন্দ্রনগরের সরোয়ার এর কলোনীতে রয়েছে।
আসামীকে নিয়ে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার সহ কাপড় ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।