গত ১৫ মে ২০২২ ইং দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৬ মে ২০২২ ইং রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় দাগনভূঁঞা জেলার থানাধীন ১নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের শীল বাড়ীর ২টি স্থানে ৬টি খড়ের গাঁদা এবং একই এলাকার বারই বাড়ীর ১টিসহ মোট ৭টি খড়ের গাঁদায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
স্থানীয় আশপাশের লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে পাশে থাকা পুকুরের পানি দ্বারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে দাগনভূঞা থানাধীন কোরাইশমুন্সি পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্সগণ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েযান,তারা দেখতে পান ঘটনাস্থলে থাকা ৭টি খড়ের গাঁদা সম্পূর্ণরূপে আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে গেছে।
পরবর্তীতে নাদিয়া ফারজানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), ফেনী এবং মাশকুর রহমান পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালীন সময়ে স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে খড়ের গাঁদায় আগুন লাগার সূত্রপাত সংক্রান্তে কেউ কোনরূপ সুস্পষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি।
তবে স্থানীয় লোকজন ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনায় জানা গেছে,মরণ চন্দ্র শীল(৩৫), পিতা-যাত্রামোহন শীল প্রকাশ খোকন, সাং-নারায়নপুর (শীল বাড়ী), ১নং সিন্দুরপুর ইউনিয়ন, থানা-দাগনভূঁঞা, জেলা-ফেনী
মোবাইল ফোনে আইপিএল খেলার বাজি ধরে বিভিন্ন লোকের কাছে অনেক টাকা ধার করেছে।পাওনাদারেরা তার নিকট পাওনা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে গত ১০ মে ২০২২ইং আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত মরণ চন্দ্র শীল’কে না পেয়ে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে মরণ ও তার আত্মীয়-স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে মর্মে স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগীগণ ধারণা করছে।
উক্ত ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে ঘটেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।ঘটনা ঘটানোর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য পরিলক্ষিত হয়নি।
উক্ত অগ্নিকান্ডের সত্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে জোর নজরদারী অব্যাহত আছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা।