হতদরিদ্র ভূমিহীন মানুষদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট করে সরকারি অর্থায়নে ভূমি সহ একটি বাড়ি একটি খামার নির্মাণ করে দিচ্ছেন সরকার,
ঠিক সে সময়ে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী সেনানিবাস সংলগ্ন মেইন গেইটের পাশে ড্রাইভার কলোনীতে বসবাস করা ৬০টি বসতঘরের প্রায় ৫ শতাধিক ছিন্নমূল মানুষদের।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক এ অভিযানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বায়েজিদ বোস্তামীর প্রধান সড়কে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ধরে মানববন্ধন করা হয়। দেড় ঘন্টার এ মানববন্দন শত শত নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে একটি মিছিল কলোনী থেকে বের করে মহাসড়কে প্রদক্ষিন করে।
সূত্র জানায় ১৯৮৮ ও ৯১ এর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর ভিটে বাড়ির শেষ সম্বল্টুলু হারিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর পরিত্যক্ত সরকারি খাস জমিতে বসবাস শুরু করে।
৬০টি পরিবারের ৫ শত মানুষ দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত পরিত্যক্ত এ জায়গাটিতে বাস্তহারা ও দখলদার হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
এখানে বসবাসরত জনৈক ব্যক্তি বলেন, ১৯৮৮ ও ৯১ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আমরা ৫ শতাধিক মানুষ সহায় সম্বল সব হারিয়ে চসিকের এ পরিত্যক্ত জায়গাতে কাঁচা ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছি। চসিক ভূমি সংরক্ষণ নীতিমালায় চসিকের নিজস্ব ভূমিতে কোন প্রকার লিজ প্রদান করা যায় না। তাই আমরা উক্ত ভূমি লিজের জন্যে চসিক প্রশাসনের নিকট আবেদন করি নাই। সরকারি এ খাস জায়গাটি আমরা খালি করতে আমাদের কোন সমস্যা নেই তবে বিনা নোটিশে এ উচ্ছেদ অভিযান কেন? উচ্ছেদ করলে পরিকল্পনা ছাড়া আমরা কোথায় যাবো? চসিক যদি আমাদের নূন্যতম ১ মাসের একটি নোটিশ আমাদের বরাবর প্রেরণ করতো তাহলে আমরা অন্যত্র চলে যেতাম।
যদিও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলীর কথা ভিন্ন। তিনি বলছেন, আমরা জায়গাটি খালি করার জন্য বিগত ৩ বছর আগে ২০১৯ সালে একটি নোটিশ প্রেরণ করেছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরেও তারা জায়গাটি খালি করেনি। এখন এক মাসের নোটিশে তারা জায়গা খালি করবে এর নিশ্চয়তা কী? তবে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেব। তাছাড়া জমিটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর।
তাদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া হবে।
Discussion about this post