৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃনগরীরতে বাস, টেম্পু, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশা। একে অপরকে টেক্কা দিতে ছুটছে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে সারি সারি গাড়ি। জিইসি মোড় থেকে আগ্রাবাদ ও দুই নম্বর গেট যাওয়ার পথে যানজটে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে মানুষের।জিইসি মোড়ের একদিকে গোলপাহাড় অন্যদিকে এমইএস কলেজে যাওয়ার পথ, ওআর নিজাম রোড। বিশেষ করে এম ই এস কলেজ ও দুই নম্বর গেট পথ দিয়ে ট্রাক চলাচল করছে। অথচ মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাক চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। একইভাবে নিষেধ আছে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় না করানোর।কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা করার বালাই নেই। যে যার মতো তাদের গাড়ি চালাচ্ছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে বাস-ট্রাকের সারি পড়ে যাচ্ছে রাস্তায়। ফল, দীর্ঘ যানজট। এমইএস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নুরুল ইসলাম বললেন, যানজটের জন্য সঠিক সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েও কলেজে পৌঁছাতে দেরি হয়। সড়কে যতটা না গাড়ি চলে, এর চেয়ে বেশি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এ জন্য যানজট বেড়েই চলছে।আগ্রাবাদে অফিসে যাচ্ছিলেন মোঃ জামাল। জিইসি মোড়ে তিনি নেমে গেলেন। তিনি বললেন, দুই নম্বর গেট থেকে বাসে উঠেছি সাড়ে আটটায়। এখন ৯টা। এ পর্যন্ত আসতে আটবার বাস থেমেছে। জিইসি মোড়েও অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে। তাই নেমে গেছি, সিএনজি অটোরিকশা করে যাওয়ার জন্য।তিনি বলেন, চালকলদের নিকট অসহায় হয়ে পডেছে পুলিশ আসলে ট্রাক-বাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না পুলিশ। সারি সারি গাড়ি সড়কের ওপর থমকে থাকার কারণেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’জিইসি কনভেনশন সেন্টার ও বাওয়া স্কুলের সামনে গাড়ির সারি। একই অবস্থা দুই নম্বর গেটের সামনেও। সেখানে রাস্তার দু’দিকেও জবরদখলের জেরে হাঁটা দায়। স্থায়ী দোকান তো আছেই, পাশাপাশি ভাসমান দোকানেও চলছে বিকিকিনি।বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জিইসি মোড়ে দিনের বেশির ভাগ সময় যানজট থাকে। রাস্তায় নিয়ম ভেঙে ট্রাক-বাস চলাচল করে। এতেই পথচলতি মানুষ সমস্যায় পড়ছেন।’দুই নম্বর গেটে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সব পুলিশ আন্তরিক না। সবাই আন্তরিক হলে, এক মিনিটও যানজট থাকার কথা না। মন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতন কেউ আসলে আমরা সড়কে যেভাবে দায়িত্বপালন করি সেভাবে করতে পারলে যানজট পালাবে। তবুও কয়েকজন নিজের দায়িত্ববোধ থেকে যানজট নিরসনে চেষ্টা করছেন।
Discussion about this post