চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলা্ইশের মির্জাপোল এলাকায় অফিসের কর্মচারী সেজে বাসায় ডাকাতি ও গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে গ্রেফতার হওয়া তিনজন সোমবার (২১ মে) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ইকরাম হোসেন রিংকু (২৬), মেহেদী হাসান (১৯), মো. আলী (২২) ও মেজবাহ উদ্দিন (২২)। তারা সকলেই সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মো. ইকরাম হোসেন রিংকু, মেহেদী হাসান এবং মেজবাহ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে রবিবার (২০ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে নগরের আগ্রাবাদ, আন্দরকিল্লা ও জেলার সাতকানিয়া থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও ২টি স্বর্ণের রিং উদ্ধার করা হয় বলে জানান পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবদুল গফুর বলেন, ১৬ মে সকালে নগরের পাঁচলা্ইশের মির্জাপোল এলাকার ইকুইটি ভিলেজ ভবনের সপ্তমতলার এইচ-৭ ফ্ল্যাটে অফিসের কর্মচারী সেজে অভিনব পন্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে চার ডাকাত মিলে বাসার গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ করে।
তিনি জানান, চারজন একটি প্যাকেট নিয়ে বাসায় কলিংবেল দেয়। দরজা খোলার পর অফিস থেকে বাসার জন্য পাঠিয়েছে বলে বাসায় ঢুকে। বাসায় ঢুকেই গৃহকর্মী ও গৃহপরিচারিকাকে হাত-পা বেঁধে বাসা থেকে মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
আবদুল গফুর জানান, ইকরাম হোসেন রিংকু এই মালিকের বাসায় আগে চাকরি করতো। পরে একটি চুরির ঘটনায় সে চাকরিচ্যূত হয়।