কথাটিকে গুরুবাক্য মনে করে অনেক পুরুষ। ভালোবাসার মানুষের মন জয় করতে এজন্য অনেক সময় ছোট ছোট মিথ্যার আশ্রয় নেন তারা। অনেক সময় সেটি হয় অজান্তে, অভ্যাসবশত। আবার অনেক সময় জেনে বুঝে ইচ্ছে করেই সেইসব ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া হয়।
কিভাবে বুঝবেন আপনার প্রিয়তম মিথ্যা বলছে?
১. প্রশংসায় পঞ্চমুখ: একটি ছেলে যখন কোনো মেয়ের সম্পর্কে গুণগান শুরু করবে, বুঝবেন ছেলেটি মেয়েটির প্রেমে পড়েছে। মেয়েটির সামনেই অনর্গল তার তারিফ করে করতে থাকা ছেলেটি তখন নিজের অজান্তেই অনেক কিছু বলে ফেলে যা অনেক সময়ই সত্যি হয় না। মেয়েটির মন পাওয়াই তখন ছেলেটির মুল উদ্দেশ্য।
২.পছন্দের মিল: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের পছন্দের সঙ্গে নিজেদের পছন্দকে গুলিয়ে ফেলে ছেলেরা। মেয়েরাও এই বিষয়টি বেশ পছন্দ করে। নিজের সঙ্গে ছেলেটির রঙ, খাবার, সিনেমার পছন্দে মিল পেলেই সম্পর্ক আরও একটু এগিয়ে নিয়ে যায় মেয়েরা। আর এই বিষয়টির জন্যে ছেলেরা প্রায়সই বানোয়াট কথা বলে
৩.পূর্বপ্রেমিকাকে দোষারোপ: এই বিষয়টি দেখা যায় নব্বই শতাংশ ছেলের মধ্যে। সম্পর্ক ভাঙার পর নতুন কারো সঙ্গে কথা হলেই শুরু হয়ে যায় আগের জনকে দোষারোপ। সম্পর্ক ভাঙার দায় পুরোটা নারীর ঘাড়ে ছাপিয়ে দায় মুক্ত হতে চায় পুরুষেরা। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এটি রমণীর মনে মায়া সৃষ্টি করে। তবে তাদের কথা বিশ্বাস করার আগে একবার পেছনে তাকিয়ে দেখে নিতে ক্ষতি নেই।
৪.আমিই শক্তিমান: পছন্দের মানুষটিকে ইমপ্রেস করতে নিজের শক্তি দেখাতে পছন্দ করে পুরুষ। তবে নারীরা শক্তিশালী ছেলে পছন্দ করে এবিষয়টা সত্য। এক্ষেত্রে কাজের তুলনায় কথায় শক্তি প্রকাশ করেই কাজ চালায় ছেলেরা। মেয়েদের বোঝা উচিৎ, মিনিটে ৪০টি পুশ-আপ দেয়ার বুলি ঝাড়া আর সেটি করে দেখানোর মধ্যে বিরাট বড় মিথ্যে রয়েছে।
৫.বিত্তশালী: সম্পর্কে জড়ানোর আগে পছন্দের রমণীকে দামি উপহার দিয়ে পুরুষেরা বোঝাতে চায় তারা কতটা স্বচ্ছল। তবে আদৌ ততটা বিত্তশালী না হলে পরবর্তীতে কি হবে সেটি ভাবে না পুরুষ।
৬.বন্ধুপ্রীতি: অনেক সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও প্রেমিকার বন্ধুদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় পুরুষ। প্রেমিকাকে খুশি করার জন্যেই এই কাজটি করে থাকে তারা। তবে কাজটি অপছন্দ হলে তা না করাই ভালো।
৭.তার কথা ভাবি সারাক্ষণ: সত্যিই কি তাই? ২৪ ঘণ্টা প্রেমিকার কথা ভাবা কি কোনো পুরুষের পক্ষে সম্ভব? ভেবে দেখুন তো!
৮.সাময়িক নারীবাদ: নারীর মন পেতে নারীবাদীও হয়ে ওঠে পুরুষ। নারী অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান কম থাকলেও নারীর মন জয় করতে এই মিথ্যাটুকুও বলতে পারেন তারা। তবে সেই পুরুষই কর্মক্ষেত্রে নারীর উন্নতিকে বাঁকা চোখে দেখার সময় ভুলে যান নারীবাদ।
যদিও সকল পুরুষ সমান নয়। অনেকেই প্রেমের সম্পর্কে সত্যবাদী যুধিষ্ঠির হন, তবে তাদের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা।,
Discussion about this post