পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় জেলার সদর থানাধীন শহরের প্রধান ডাক ঘরের সামনে পুলিশের পিকাপের সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক মুহম্মদ তরিকুল ইসলমের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। ৩০ মে/১৮ ইং বুধবার বিকাল অনুমান ৪:৩০ ঘটিকায় উক্ত ঘটনাটি ঘটে। এতে সাংবাদিকের ডান হাত ডান পা আহত হয়। দুর্ঘটনার পরোক্ষণে পঞ্চগড় পুলিশ লাইনস্ পিকাপ ড্রাইভার আহসান হাবীব সাংবাদিক মুহম্মদ তরিকুলকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। আহত সাংবাদিক মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম নাহিদ গ্রুপ অব কোম্পানীর আওতাধীন পঞ্চগড় দশমাইলে অবস্থিত নাহিদ চা ফ্যাক্টরীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের সহ-বৈদেশিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা প্রেস ক্লাবের প্রস্তাবিত সদস্য প্রার্থী। তিনি দীর্ঘ ৭বছর যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। আহত সাংবাদিক মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, পুলিশের পিকাপ ড্রাইভার আহসান আমার বিষয় জানতে চাইলে আমি আমার পরিচয় দিই। পিকাপ ড্রাইভার আহসান আমাকে বলেন, ভাই আপনাকে আমার সঙ্গে পুলিশ লাইনে যাইতে হবে। অন্যথায় আমাকে জবাব দিহি হইতে হবে। এতে সাংবাদিক ও তার ম্যানেজার, বিপুল চন্দ্র রায় এবং পঞ্চগড় সাতমেড়ার সাবেক চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মিলনসহ পুলিশ লাইনে ড্রাইভার আহসানের অফিসারের দেখা করতে গেলে তিনি অফিসে নেই জানান আহসান। অতপর আহসান সাংবাদিকের মোটরসাইকেলটি পুলিশ লাইনের ভিতরে রেখে দিয়ে তাদের বাসায় যেতে বলেন। যখন তার স্যার আসবে সাংবাদিক তরিকুলকে মুঠোফনে জানাবেন বললেন। অতপর বাসায় এসে ইফতার করার পর পিকাপ ড্রাইভার আহসান মুঠোফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক তরিকুল তৎক্ষণাত পুলিশ লাইনে যায়। পুলিশ লাইনে গেলে ড্রাইভার আহসান বলেন, বড় স্যার নেই উনি একজন স্যারকে আপনার বিষয়টি দেখতে বলেছেন। এতে সাংবাদি তরিকুল ও তার সঙ্গে থাকা আশরাফুল ইসলাম বুলেট, বিপুল চন্দ্র রায় ও মোস্তাফিজুর রহমান মিলনকে নিয়ে সেই স্যারের নিকট গেলে তিনি তাহাদের পরিচয় নেয়। তাহাদের পরিচয় প্রাপ্ত সেই স্যারের নাম জানতে চাইলে নাম বলতে অনিচ্ছুক সেই স্যার, প্রথমেই বলেন আপনি তো আমাদের গাড়ীর সাথে দূর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। সাংবাদিক তরিকুল বললেন হ্যাঁ, ঘটিয়েছি। তবে আমি নিজের ইচ্ছায় ঘটনাটি ঘটায়নি। দূর্ঘটনা যে কারো কাছ থেকে ঘটতে পারে বা হইতে পারে। দূর্ঘটনা বলে আসেনা। যতই আপনি সাবধানতা অবলম্বন করেননা কেন? অতপর নাম জানাতে অনিচ্ছুক সেই স্যার সাংবাদিক তরিকুলকে বলেন, আপনিতো আমাদের গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে ফেলেছেন। গাড়ীর এন্টিকেটর লাইট ইত্যাদি আরো কত কথাই না বললেন। সেই স্যারের কথার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক তরিকুল বলেন, রাস্তার মধ্যদিয়ে একজন পথচারী এদিকে যাবে নাকি ওদিকে যাবে এমন করতে থাকলে আমার গাড়ী আপনার পিকাপে লেগে যায়। অন্যথায় পথচারির প্রাণ চলে যেতো। এতে কি আমার অপরাধ? তিনি সাংবাদিক তরিকুলের কথা কোনো ক্রমেই তোয়াক্কা না করে গাড়ীর ক্ষতিপূরণের জের ধরিয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমরা সরকারি ভাবে অনেক কিছু করতে পারতাম। সাংবাদিক তরিকুলের সঙ্গে থাকা লোকজন সেই স্যারের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পরে। তারা ভয়ভীতির আশঙ্কায় নাম জানাতে অনিচ্ছুক সেই স্যারকে বলেন, আপনি কি করতে বলতেছেন বলুন। তৎক্ষণাৎ সেই স্যার বলেন, আপনারা ভেঙ্গে যাওয়া গ্লাস দিবেন এবং গাড়ী মেরামত করিয়ে দিবেন। এতে সাংবাদিক তরিকুলের লোকজন অনেক কাকুতি মিনতির পর, সেই স্যার আমাদের কাছ থেকে ৬০০০/- (ছয় হাজার) টাকা নিয়ে আটকিয়ে রাখা মোটর সাইকেলটি ছাড়িয়ে দেয়। এদিকে পিকাপ ড্রাইভারের কাছ থেকে সেই স্যারের নাম জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নাম এ.এস.আই মিলু। সাংবাদিক তরিকুল এ.এস.আই মিলুর নাম না বলার ভাবভঙ্গি আজও বুঝে উঠতে পারছেনা। কেন সে তার নাম জানাইলেন না?’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনিক এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিক মুহম্মদ তরিকুল ইসলম কে সঠিক তথ্য বলায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান’এর ভিতর রহস্য কি? অন্যদিকে আমার কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছে তাতে নেয়ার নিয়ম আছে কিনা? সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম জনসম্মুখে ও প্রশাসন কে এটাই বলতে চাই, আমিও তো একজন সমাজ সেবায় নিয়োজিত আছি। তাহলে কেন আমাকে মুখের ঠোগায় লেলি পড়িয়ে দেয়া হলো। তিনি সেই পুলিশ কর্মকর্তা এ.এস.আই মিলু নাম না বলার বিষয়ে এবং ক্ষতিপুরণের টাকা নেয়ার দাবিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জবাব নেয়ার দাবি তুলেছেন ।