৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃনেত্রীর নির্দেশ আছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন চলছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তাদের আন্দোলনে এক সময় আওয়ামী লীগের লোকেরাও যোগ দেবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘একটা সময় আসবে, যখন আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের নেতাকর্মীদের সক্রিয় সমর্থন থাকবেই, এমনকি আজকে সরকারি দলেরও লোকদেরও সমর্থন থাকবে। আর এ আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটবে।’
রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি নেতা।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের নিয়ে ৯০ এর দশকে আওয়ামী লীগের আন্দোলন করার বিষয়টিও তুলে ধরে নজরুল। বলেন, ‘তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা (আ.লীগ) যখন বলেছি আমরা সেটা মেনেছি, কিন্তু তারা এখন আমাদের কথা মানবে না।’
‘এখন আমরা যে প্রস্তাব করছি একটা সময় সেটা আওয়ামী লীগের প্রস্তাব ছিল। তখন তা সেটা সঠিক মনে করেছিল, এখন সঠিক মনে করে না। কারণ তারা বুঝে গেছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের জেতার কোন সম্ভাবনা নাই। অতএব দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
‘এই স্বার্থপর সিদ্ধান্ত কোন ভালো রাজনৈতিক ও দায়িত্বশীল দল ও সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’
নজরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের নেত্রীর মুক্তি চাই, এদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চাই এবং ভোটে নির্বাচত হয়ে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করবেন ও দায়বদ্ধ থাকবেন। আর এ ধরনের নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে হতে পারে না। যার সাম্প্রতিক প্রমাণ খুলনার সিটি নির্বাচন।’
‘সরকার তাদের কর্মীদের এমই সুযোগ সুবিধা দিয়েছে, সামনের জাতীয় নির্বাচনে যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা না হয় তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।’
‘আমাদের কথা পরিষ্কার, নির্বাচনের আগে সংসদ বাতিল করে সকলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।’
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে নজরুল বলেন, ‘সরকার পক্ষের আইনজীবীরা কোনভাবেই প্রমাণ করতে পারে নাই যে বেগম জিয়ার এই অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। অনুমানের ওপর অভিযোগ করছে যে তিনি সহমত ছিলেন। আইন অনুমান চায় না, তথ্য প্রমাণ চায়। কোনো তথ্য প্রমাণই তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ছিল না।’
‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে আগে থেকেই বলছেন যে তিনি (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন, সেখানে রায় দিয়ে তা বদলানো ক্ষমতা কার আছে?’
‘যে বিচার বিভাগ আমাদের শেষ আশ্রয় স্থল, দুর্ভাগ্য আমাদের যে আমরা সেখানেও সুবিচার পাই না।’
প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে নজরুল বলেন, ‘কোথায় যায় এত টাকা? রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টের তো কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। সুইস ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা হচ্ছে। আমার সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে কিন্তু তাদের আয় বাড়ছে না।’
‘এতো লেখালেখি হচ্ছে, এত বক্তৃতা হচ্ছে, সরকার কেন অনুসন্ধান করে না যে কার টাকা এসব? অনুসন্ধান করলে তো বের হয়ে আসবে যে, তারা ক্ষমতাসীন কিংবা ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট মানুষ।’
Discussion about this post