ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৪৯০ পরিবারকে সরিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ জুন) সকাল থেকে নগরের ৪ সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত ৯ পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে সেখানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভূমিধসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে নগরে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে রোববার (১০ জুন) পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা পরিবারগুলোকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন। মাইকিংয়ের পর সোমবার (১১ জুন) সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৯ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেন, সোমবার (১১ জুন) সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে নগরের আকবর শাহ, জালালাবাদ এবং খুলশী পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৪০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে যাদের অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ নেই তাদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত বাসিন্দাদের সরে যেতে রোববার (১০ জুন) থেকেই মাইকিং করা হয়। মাইকিংয়ের পর অনেক পরিবার নিজেরাই সরে গেছে।
বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আফরিন মোস্তফা বলেন, বাকলিয়া সার্কেলের মতিঝর্না এবং বাটালি হিল সংলগ্ন এলাকায় সোমবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ২৯০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৮০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের শঙ্কায় রোববার (১০ জুন) রাতেই অভিযান শুরু করি আমরা। রাত ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে ১০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে রেখে সেহেরি এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির রহমান সানি বলেন, সোমবার (১১ জুন) মিয়ার পাহাড় এবং আমিন পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৮০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ৫০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়।
অন্যদিকে আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আখতার জানান, নগরের একে খান ও পোড়া কলোনি এলাকায় সোমবার (১১) জুন) অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এ সময় দুই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৭০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ৪০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আগাম সতকর্তামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৪৯০ পরিবারকে আমরা সরিয়ে নিয়েছি। প্রাকৃতিক কারণে ভূমিধস হলে যাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়, এ জন্যই আমাদের এ ব্যবস্থা।,
Discussion about this post