৭১বাংলাদেশ ডেস্কঃ সিসিটিভির আওতায় আসছে বাংলাদেশ সীমান্ত। শুধু সিসি টিভিই নয় ড্রোন, রাডার, সার্চ লাইটসহ বিভিন্ন নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে সীমান্তকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিজিবি। একে বলা হচ্ছে- বর্ডার সারভেইল্যান্স সিস্টেম বা স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। বিজিবি বলছে, ইতোমধ্যেই এসব প্রযুক্তি বসানো জায়গাগুলোতে ‘সীমান্ত অপরাধ’ কমেছে। রাতের সীমান্ত। হঠাৎই অন্ধকারের আধাঁর ফুড়ে বেজে উঠলো বিজিবির হুইসেল। ধরা পড়লো এক চোরাকারবারি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার। প্রশ্ন হলো এত বড় সীমান্তে এভাবে কতক্ষণ সূক্ষ্মভাবে নজরদারি করা সম্ভব? এই সমস্যা উত্তরণে সীমান্তে বসানো হচ্ছে- নানা প্রযুক্তি। স্পর্শকাতর ৫১১ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে যশোরের পুটখালি, কক্সবাজারের টেকনাফ এবং দিনাজপুরের হিলিসহ প্রায় ২০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ইতোমধ্যেই বসানো হয়েছে বেশ কিছু প্রযুক্তি। পুটখালী সীমান্তের এই সেন্সরটি তার আশেপাশের বেশ কিছু দূর পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি টের পেলে সংকেত পাঠায় ক্যাম্প অফিসের কন্ট্রোলরুমে। সক্রিয়ভাবে নিরাপত্তা ক্যামেরার চোখ অনুসরণ করে সেই ব্যক্তিকে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয় দায়িত্বরত কর্মকর্তা। তার নির্দেশমতো ছুটে যায় পেট্রোল টিম। কথা হলো ওই এলাকায় পৌঁছতে গিয়ে যদি অপরাধী পালিয়ে যায়? বিজিবি বলছে সেক্ষেত্রে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অপরাধী সনাক্তে আশেপাশের সব সদস্যকে সজাগ করে দেবে কন্ট্রোল রুম। নির্দিষ্টস্থানের কন্ট্রোলরুমই তা মনিটর করতে পারবে এমন নয় বরং ঢাকা থেকেও মনিটর করা যাবে দেশের সব সীমান্ত। বাহিনী প্রধান বলছেন, স্পর্শকাতর ৫১১ কিলোমিটারের পুরো জুড়েই আগামী ৩ বছরের মধ্যে বসানো হবে এসব প্রযুক্তি। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো পুরো দেশকে ৪৪২৭ কিলোমিটার। আমাদের স্বপ্ন হলো ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটা করে ফেলবো। ক্যামেরা ও ফ্লাইট লাইট দেখেছেন, এটার সুফল পেয়েছি। তবে পুরোপুরি কমেছে তা নয়, অনেকটাই কমেছে।’ এসব প্রযুক্তি বসাতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়বে অন্তত ১ কোটি টাকা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীতো বটেই পুরো দেশবাসীই জানেন ফেন্সিডিল ও ইয়াবারমতো মাদকগুলো সীমান্ত পথেই ঢোকে বাংলাদেশে। দেশে ঢোকার পর তা প্রতিকারের চেয়ে যদি সীমান্তেই ঠেকিয়ে দেয়া যায় সেটি বেশি উত্তম পন্থা। বিজিবি বলছে, সীমান্তে স্থাপিত এইসব প্রযুক্তি মাদক ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ রাখবে, সঙ্গে নজরদারি করবে সীমান্ত নিরাপত্তা। আতিকুর রহমান তমাল, সময় সংবাদ, হিলি।