ঢাকা ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮: একুশের চেতনায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জাতীয় সংগঠন বিএমএসএফ। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় রাজধানীতে প্রভাত ফেরী শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ঐক্যবদ্ধের দাবী তোলেন। তিনি বলেন, দেশে ক্রমাগত সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রাণী, সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি চলে আসছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। হাতেগোনা দুতিন জন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়েছে। কত বছর হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার চার্জশীট মেলেনি। রংপুর বিএমএসএফ’র সদস্যসচিব মশিউর রহমান উৎস হত্যার ৩ বছর চলছে, এখনও চার্জশীট হয়নি। সাংবাদিক হত্যার বিচার নেই, এই সংস্কৃতি থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে আসতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। দেশে সাংবাদিকদের কোনঠাসা করে রাখতে একটি চক্র সরকারকে ভুল বুঝিয়ে আইনটি পাসে ঈন্ধন যোগাচ্ছে। আইনটি খসড়ার আগে সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতামত নেয়া উচিত ছিল। আইনটি পাস না করার জন্য বিএমএসএফ’র নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক নিপিড়নকারী ৫৭ ধারা বাতিল করে আরো বেশি বিষাক্ত ৩২ ধারা আইনটি সংসদে পাস করার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চায় যারা ৫৭ বাতিল করে ৩২ ধারা চালুর চিন্তা সরকারকে দেখাচ্ছেন তারা মঙ্গল চায়না। কারন, দেশে সকল শ্রেনীপেশার লোকই সরকার থেকে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। কিন্তু সাংবাদিকরা সরকারী বেতন-ভাতা নিচ্ছেনা, তারা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়। খামাখা তাদেরকে কোনঠাসা করে যাতাকলে পিষে কন্ঠরোধ করতে চায়। যাতে ওই সকল দূর্ণীতিবাজরা আরো বেশি দূর্নীতি করে দেশে-বিদেশে সরকারের ইমেজ নষ্ট হয়। দেশে প্রায়শই সাংবাদিকরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হন। সাংবাদিকদের জন্য এ আইনটি খুবই প্রয়োজন। কিন্তু আইনটির ধারা-উপধারা যেভাবে করা হচ্ছে যা শুধু সাংবাদিকদেরকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আইনটির বেড়াজালে সাংবাদিকরা দূর্নীতি অনিয়ম সহ নানা খবর আনতে গেলে সংশ্লিষ্ট দূর্ণীতিবাজের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে, নইলে গুপ্তচর হবেন সাংবাদিক! চক্রটি সাংবাদিকদের ওপর ৩২ ধারার খড়গ চাপিয়ে সরকার এবং গণমাধ্যমেকে মূখোমূখি করতে চাচ্ছে। সাংবাদিকরা আশাবাদি আইনটি পাসের আগে দেশে সাংবাদিক সংগঠন প্রধানদের মতামত নিয়েই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংসদে পাস হবে। এ সময় বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট কাওসার হোসাইন, ঢাকা জেলা কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা কলিম এম জায়েদী, যুগ্ম-আহবায়ক নাজমা সুলতানা নীলা, যুগ্ম-আহবায়ক জালাল উদ্দিন জুয়েল, রেজাউল করিম ও লোকমান হোসেন, সদস্য ইভা খন্দকার, বৃহত্তর মিরপুর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আলিয়ার রাফি, সদস্য সচিব মঈন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এদিকে সংগঠনের উদ্যোগে শরীয়তপুর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, নান্দাইল, বিবাড়িয়া, ফেনী, ছাগলনাইয়া, লক্ষ্মীপুর, কমলনগর, নলছিটি, রাজাপুর, বাকেরগঞ্জ, সারিয়াকান্দি, পাইকগাছাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা কমিটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবসটি উদযাপন করেন ,, বিএমএসএফ ফেসবুক ওয়াল ,।
Discussion about this post