সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃমাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা ,কথায় আছে শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ।কিন্ত তারাই এখন সাধারণ মানুষের কাছে অভিশাপে পরিণত হয়েছে।যে বয়সে তাদের হাতে বই,কলম থাকার কথা সে বয়সেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ড্রাম্পার, আলমসাধুর মত দানবযন্ত্র। যা চালানোর কোনো অভিঙ্গ নয় তারা।নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অভিঙ্গতা ।যার ফলে মাঝে মধ্যেই তারা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে।১২-১৫ বছরের শিশুরা এসব অধিক ধারণক্ষমতা নিয়ে পাড়ি দিচ্ছি মাইল-মাইল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কালিগঞ্জ উপজেলার শিতলপুর গ্রামে অবস্হিত একটি ইটভাটা এবং ৬ টি বালুর স্তুুপ ।যেখান থেকে প্রতিদিনই ইট,বালু নিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করছে এসব দানবযন্ত্র। যার ফলে পথচারী,স্কুলশিক্ষার্থিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন দুর্ভোগে পড়ছে।রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।শিতলপুর গ্রামের পারভীন বেগম জানান,প্রায় প্রতিদিনই তার বাড়ির সামনে দিয়ে অধিক ধারণক্ষমতা নিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে এসব গাড়ি।তাদেরকে প্রায়শই ধীরে চলার কথা বললেও তারা শোনে না এবং জোরে চালায়।দক্ষিন বাংলার ঐতিহ্যবাহী মোকাম হচ্ছে নাজিমগঞ্জ।অনেক ব্যবসায়ীরা জানান,মোকামের ওপর দিয়েও এসব গাড়ি অনেক জোরে চলাচল করে।যার ফলে ক্রেতাসাধারণ অনেক ভোগান্তিতে পড়ে।বালু উড়ে দোকানের ভিতরে যেয়ে দোকানের মালপত্রে ধুলার স্তুপ পড়ে।যার ফলে তাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।উল্লেখ্য যে,গত বছরে একটি বালুবাহী ড্রাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে কালিগঞ্জ পাইলট সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আব্দুল গফফার নিহত হন।ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের দাবি,দ্রুত এসব অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে এবং শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে।শিশুদের হাতে এসব গাড়ি দেওয়া যাবে না।নইলে সামনে বড় কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
Discussion about this post