চট্টগ্রামে পর্যটন করপোরেশনের মোটেল সৈকত থেকে গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবিরের ২১০ জন নেতাকর্মীর মধ্যে সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ শুনানি শেষে এ অনুমতি দেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে এজাহারে থাকা প্রথম ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
আদালত শুনানি শেষে সাতজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং অন্যদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
যাদেরকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- নগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল হাসান লোদি (২৮), সেক্রেটারি মো. ইমরানুল হক, অফিস সেক্রেটারি গাজী সাখাওয়াত হোসাইন (২৭), হাবিবুর রহমান (৫৫), রফিকুল হায়দার (৫৫), হোসেন মুরাদ তারিক (২৮)।
গত ২৩ জুন রাতে নগরীর কোতোয়ালি স্টেশন রোডের মোটেল সৈকতে অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে গ্রেপ্তার ২১০ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
গ্রেপ্তারের পর নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঈদ পুনর্মিলনীর নামে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। তবে তারা পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেননি।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহসিন জানয়েছিলেন, ‘পারাবার’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে তারা ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছিল মহানগর দক্ষিণের শিবির নেতারা। সংগঠনটি ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সাংস্কৃতিক শাখা।
Discussion about this post