বিশ্বে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় শীর্ষ কেন্দ্রগুলোর একটি তাজমহল। প্রতিদিন সেখানে প্রায় ৭০ হাজার পর্যটক আসেন। সেই তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ভারতের সরকারের ‘ব্যর্থতা’র উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত বলেছে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার উভয়ই এই স্মৃতিসৌধটির ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ‘অলসতা’ দেখিয়েছে।
সপ্তদশ শতকে মোঘল আমলে নির্মিত এই স্থাপনাটির ওপর দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে চলতি বছরের মে মাসে আদালত সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছিল তাজমহলের মার্বেল পাথরের গাঁথুনির রং পরিবর্তনের বিষয়ে বিদেশিদের সহায়তা নিয়ে তা পুনরুদ্ধারের জন্য।
আদালত তখন বলে, এই ভুবন-বিখ্যাত সমাধি সৌধটির সাদা মার্বেল এবং অন্যান্য উপাদান হলুদাভ রং ধারণ করেছে, তা ধীরে ধীরে বাদামী এবং সবুজ রং নিচ্ছে। দূষণ, নির্মাণকাজ এবং কীটপতঙ্গের বিষ্ঠা এর কারণ।
সরকারের তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয় যে, তাজমহলের ভেতরে এবং বাইরে দূষণ কিভাবে ঠেকানো যায় সে বিষয়ে পরামর্শের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তারা আরও বলে, এর আশপাশের হাজার খানেক কারখানা এরইমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পরিবেশবাদী এবং এ নিয়ে সোচ্চার ব্যক্তিরা বলছেন এরপরও সাদা মার্বেল তার দীপ্তি হারিয়ে ফেলছে।
মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজ মহলের সমাধি আর স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে ভারতের আগ্রায় এই স্থাপত্যটি তৈরি করেন, যিনি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এটিকে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে মনে করা হয়।
তাজমহলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর দূষিত পানির কারণে সেখানে নানা পোকামাকড়ের আনাগোনা এবং তাজমহলের দেয়ালে তাদের মলত্যাগ করার ফলে বিবর্ণ হয়ে পড়ছে দেয়াল। সূত্র: বিবিসি
Discussion about this post