বিএনপির দুই নেতার কথোপকথনে রাজশাহীতে তাদের পথসভায় বোমা হামলায় নিজেদের দলের নেতাকর্মী জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রবিবার নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হেতেমখাঁ এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গত ১৭ জুলাই বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় পথসভার বোমা হামলা হয়। চারটি মোটরসাইকেলে আটজন যুবক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরপর তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনার দুই দিন পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন রাজশাহীর নেতা মতিউর রহমান মন্টু। শনিবার রাতে তাদের সেই কথোপকথনের অডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ওই অডিওতে শোনা যায়, বিএনপি নেতা মন্টু কেন্দ্রীয় নেতা টিপুকে জানাচ্ছেন, ভাইয়ার (তারেক রহমান) কাছে ক্রেডিট নেয়ার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে, যাতে জড়িত তার দলের লোকজনই। এরপর শনিবার রাতে মন্টুকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিজয় বুঝতে পেরে শুরু থেকেই বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির পথসভায় হাতবোমা হামলার ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলার ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের কথোপকথনের অডিও ক্লিপও পেয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনই ব্যবস্থা নেবে। তবে বিএনপি যে উদ্দেশ্যে নিজেরা নিজেরাই বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, সে উদ্দেশ্য সফল হবে না।’
লিটন মনে করেন, জনগণের সহমর্মিতা অর্জন করতে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। তাই তাদের ব্যাপারে নগরবাসী আরও বেশি সচেতন হবে বলেও মনে করেন সাবেক এই সিটি মেয়র।
Discussion about this post