স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বাষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কিরন শর্মার সভাপতিত্বে ১৪ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় চেরাগী পাহাড়স্থ সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর যুবলীগ নেতা মো. গিয়াস উদ্দিন ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ন কবিরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী,অর্থ সম্পাদক নুরুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল আজীজ,সাবেক ছাত্র নেতা এম শাহাদাৎ নবী খোকা, সংগঠনের সদস্য স.ম জিয়াউর রহমান,ফিরোজ চৌধুরী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা জহির উদ্দিন, মো. আলমগীর, মো. কুতুব উদ্দিন রাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুণ নাথ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া বাবলা, মোসলে উদ্দিন বাহার, কামাল উদ্দিন, শেখ সেলিম, মো. সাকিল, রূপন নাথ, মো. মনির।
প্রধান অতিথি প্যানেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি রাষ্ট্র, একটি প্রতিষ্ঠান। যাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতোনা। তাকে স্ব পরিবারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হত্যা করায় বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তখনকার সময়ে ৭৫ পরবর্তী সরকার সেসব ঘাতকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করেছে। সময় পেরিয়ে অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে সে ঘৃনিত খুনীদের বিচার করেছে। এখনও কয়েকজন ঘাতক বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। তাদেরকেও এদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করে রায় কার্যকর করার অনুরোধ জানান তিনি।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেতে প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। যদিও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে ব্যর্থ হন, তাহলে প্রগতিশীল রাজনীতির কবর রচিত হবে। কাজেই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়নের ধারবাাহিকতায় রক্ষা করার জন্য আহবান জানান তিনি।
Discussion about this post