চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ব্যতিরেকে কোথাও কোন গরুর হাট বসবে না। রাস্তার উপরে কোন অবস্থাতেই গরুর হাট বসানো যাবে না। এই ব্যাপারে সর্তক দৃষ্টি রাখার জন্য সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান। সোমবার(১৩আগষ্ট) বিকাল ৩টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম নগরী এলাকায় গবাদি পশু ক্রয় বিক্রয়, চামড়া ক্রয় বিক্রয় ও পরিবহন, জাল নোটের ব্যবহার রোধ এবং কোরবানি পশুর হাটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে সমন্বিত মতবিনিয়ম সভায় তিনি নির্দশনা দেন। উপ–পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোঃ মোখলেছুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সিএমপি কমিশনার কোরবানি পশু ও পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন এবং সার্বিক নিরাপত্তায় গৃহিত পুলিশী ব্যবস্থা সর্ম্পকে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমোদিত ১০টি পশুর হাট রয়েছে। তন্মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ০৮টি এবং সিটি কর্পোরেশনের বাইরে কর্ণফুলী থানা এলাকায় ০২টি গরুর হাট রয়েছে। প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সাদাপোশাকে পুলিশের নজরদারি, ওয়াচ টাওয়ার, ০৮টি স্লোগান সম্বলিত পুলিশের নিজস্ব ব্যানার, ভেটেরিনারী ভিজিল্যান্স টিম (পশু ডাক্তার) সহ জাল নোট শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ হতে শনাক্তকরণ মেশিন থাকার কথা ব্যক্ত করেন। তাছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের টহল দল থাকবে অবৈধ পশুর হাটের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন হতে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।প্রতিটি পশুর হাটে বিশেষ পোশাক পড়া অবস্থায় পরিচয়পত্র সহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছা সেবক নিয়োগ, হাটের চৌহদ্দি নির্ধারন, সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, সার্বক্ষনিক মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি, সালাম পার্টি, জাল টাকার বিষয়ে সতর্কতা মূলক মাইকিং ও জেনারেটরের ব্যবস্থা, হাসিলের সুনির্দিষ্ট হার/দাম নির্ধারণ করতঃ ব্যানার জুলিয়ে রাখা ও হাটের আশে পাশের খাবার দোকানদারদের পরিচয়পত্র প্রদান ও বহনের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থ গ্রহণের করার জন্য পশুর হাট ইজারাদারদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম, বিপিএম–সেবা, উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক–উত্তর) হারুন–উর–রশিদ হাযারী, উপ–পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মোঃ ফারুক উল হক, উপ– পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোঃ মোখলেছুর রহমান, উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিবি–উত্তর) হাসান মোঃ শওকত আলী, উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক–বন্দর) ফাতিহা ইয়াছমিন, উপ–পুলিশ কমিশনার (পিওএম) মোঃ তারেক আহম্মেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিনিধি, র্যাব প্রতিনিধি, এনএসআই প্রতিনিধি, ডিজিএফআই প্রতিনিধি, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি’র প্রতিনিধি, হাট ইজারাদার’সহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিঃ উপ–পুলিশ কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তগণ উপস্থিত ছিলেন।ছবি ফাইল ফটো
Discussion about this post