চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার প্রধান আসামি হাজী ইকবাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।তিনি জানান, আদালতে হাজী ইকবাল আত্মসমর্পণের পর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাজী ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থেকে রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানান তিনি ।উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দীন হত্যায় হাজী ইকবালসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বন্দর থানা পুলিশ। অভিযোগপত্রে আসামি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল, তার ভাই মুরাদ, বিপ্লব, ডিউক, আজাদ, শেখ মহিউদ্দিন, মাহিব, আজগর, জিসান সহ মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে ৯ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন । এ মামলার প্রধান আসামি হাজী ইকবালসহ ১১ জন আসামি পলাতক ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ নগরের হালিশহরের সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন নিহত মহিউদ্দিন। যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোন পদে ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভাসমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করতো নিহত মহিউদ্দিন।