৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃচট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতের কাছে পাথরের উপর উপুর হয়ে পড়ে থাকা স্কুলছাত্রী তাসপিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ তাসপিয়ার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী তীর সংলগ্ন ১৮ নম্বর ঘাটের পাথরের উপর উপুর হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর তাসফিয়ার ‘হত্যা’ না ‘আত্মহত্যা’-এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। তাসপিয়ার মৃত্যুর ঘটনা সমগ্র চট্টগ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রথমে নগরীর পতেঙ্গা থানা পুলিশ এবং পরে গোয়েন্দা পুলিশ তাসপিয়ার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত কার্যক্রম চালায়।
সর্বশেষ গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, ভিসেরা রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের দেওয়া তথ্যমতে তাসপিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সাতজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে তাসপিয়ার ময়নাতদন্তের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পানিতে ডুবে তাসপিয়ার মৃত্যু হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে তাসফিয়ার পেটের মধ্যে প্রচুর পানি পাওয়া গেছে। শ্বাসনালীতে ছিল কাদাময়লা।
তাসপিয়ার মৃত্যু রহস্য তদন্তকারী নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই স্বপন সরকার জানান, ভিসেরা রিপোর্টে তাসফিয়ার শরীরে বিষক্রিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, ধর্ষণের প্রমাণও নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে পানিতে ডুবেই তাসপিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাসপিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবার দায়েরকৃত হত্যা মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি। সবগুলো অনুন্ধানে এটি আত্মহত্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে।