৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃচট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া গয়ালমারা এলাকায় শ্যামলী বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে । শনিবার (০৩ মার্চ) সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের স্হানীয়রা উদ্ধার করে চকরিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত ব্যক্তিদের সবার পরিচয় পাওয়া গেলেও নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় পাওয়া যায় নি। নিহত ব্যক্তির নাম আলী আকবর (২২), সাহাবউদ্দিন (১৮), হারুনুর রশিদ (১৬) ও নোয়া গাড়ির চালক জয়নাল আবেদিন (২৬)। নিহত জয়নাল ছাড়া অন্য তিনজনের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায়। জয়নাল খুনিয়াপালং এলাকার বাসিন্দা। আহত ব্যক্তিদের সবার বাড়িও উখিয়ায়। আহত ব্যক্তিরা হলেন সালাউদ্দিন (৩০), গোফরান (২৫), নূরুল ইসলাম (২২) ও নূরুল ইসলাম (১৮)।দুই মাইক্রোবাসের এ সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন ও উপজেলা হাসপাতালে একজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন কক্সবাজারগামী ও একজন চট্টগ্রামগামী মাইক্রোবাসের যাত্রী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস যাচ্ছিল। পেছনে ছিল আরেকটি মাইক্রোবাস। বিপরীত দিক থেকে চট্টগ্রামগামী আরেকটি মাইক্রোবাস আসছিল। প্রথমে শ্যামলী পরিবহনের বাসের সঙ্গে চট্টগ্রামগামী মাইক্রোবাসের আংশিক সংঘর্ষ হয়। এ সময় শ্যামলী পরিবহনের বাসটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেতে সক্ষম হলেও মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশে প্রায় ছিটকে পড়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে বাসের পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটি ওভারটেক করতে গেল রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে থাকা মাইক্রোবাসের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে ১ জন মারা যায়। নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের দ্বায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, তিনটি গাড়িই জব্দ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন চালক থাকতে পারেন। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের উদ্ধার ও আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ঘটনার পর পরই বাসের চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসসহ মাইক্রোবাস দুইটি জব্দ করা হয়েছে।
Discussion about this post