বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের পরিচালক মেজর মুহাম্মাদ নাসিরের অবঃ সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সাঈদ, দূতাবাসের প্রথম সচিব আনোয়ার হোসেনে, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপিসহ ওমানের ব্যবসায়ীরা।
আবুল হাসান মৃধা ১ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ওমানে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাউন্সিলর ও হেড অব চেন্সারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন কলকাতা ও বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে কর্মরত ছিলেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে অতি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি প্রমোশন পেয়ে রাশিয়ায় কাউন্সিলর হিসেবে যাচ্ছেন। তার বিদায় উপলক্ষে ওমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাল্ফ জ্যুস সেন্টারের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ বরকত আলী আয়োজন করেন এক বিদায়ী সংবর্ধনার। উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের ব্যবসায়ী গাজী এনামুল হক, মুহাম্মাদ সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার তাপস চৌধুরী, কামরুল হাসান, শহিদুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বাইজিদ আল হাসানের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন মুহাম্মাদ নবী হোসেন, ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপি, সেলিম হোসেন, দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সাঈদ ও বাংলাদেশ স্কুলের পরিচালক মেজর মুহাম্মাদ নাসির।
বক্তারা তাদের আলোচনায় আবুল হাসান মৃধার ওমানে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ভালো কাজের প্রশংসা করেন। তিনি যেন পুনরায় ওমানে অ্যাম্বাসিডর হয়ে আসেন সেই প্রত্যাশা করেন আগত অতিথিরা।
প্রোগ্রামের শুরুতে গোল টেবিল আলোচনায় ওমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে ওমানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সাঈদ ও হেড অব চেন্সারি আবুল হাসান মৃধা। আবু সাঈদ বলেন, ওমানে বাংলাদেশি কিছু পণ্যের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। এর ভেতর উল্লেখযোগ্য পণ্য হচ্ছে, পাটের ব্যাগ, কৃষিবীজ, গাড়ির ব্যাটারি, সেইসাথে ওমান থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন এগ্রিকালচার প্রোজেক্ট এর ও বেশ সম্ভাবনাময় ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন ওমানের ব্যবসায়ীরা।
সেক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার ও আশ্বাস দেন। আবুল হাসান মৃধা চট্টগ্রাম সমিতি ওমানকে শুধুমাত্র চ্যারিটি সংগঠন এর ভেতর না রেখে ব্যবসায়িক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরামর্শ দেন।
তিনি সংগঠনের সভাপতি ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপির ভূয়সী প্রশংসা করেন ওমানের বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজে চট্টগ্রাম সমিতির অংশগ্রহণের জন্য।
আবুল হাসান মৃধা তার ওমানে থাকাকালীন প্রবাসীদের জন্য দূতাবাস প্রাঙ্গণে পানির সুব্যবস্থা ও জুনিয়র কর্মচারীদের কাজের তদারকির জন্য পুরো দূতাবাস সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন কল্যাণকর কাজ করেছেন বলে জানান বক্তারা।
প্রধান অতিথির আলোচনায় তার দীর্ঘদিন ওমানের নানা অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সরকারি কর্মকর্তারা অনেক সেবাই দিতে পারে সাধারণ মানুষকে। সেইসাথে তিনি রেমিটেন্স প্রেরণে ওমানে এখন বিশ্বের ৪ নম্বরে অবস্থান করছে বলে সবাইকে অবহিত করেন।
Discussion about this post