জনতার কলাম-পিংকিঃস্বামীর পৈশাচিক নির্যাতন থেকে মুক্তি চায় পিংকি ২ লাখ টাকা এবং ৪ভরি স্বর্ণের জন্য আমাকে গভীর রাতে ঘুম থেকে টেনে তুলে মুখের মধ্য কম্বল ঢুকিয়ে দেয়।আমার বুকে ও তলপেটে ঘুষি মারতে থাকে। এই সময় কোন ভাবে হাত পা ছুড়ে নিজেকে রক্ষা করি এবং চিৎকার করতে থাকি। চিৎকার শুনে বাড়ির আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে আমার স্বামী উল্টা তাদের কাছে অপবাদ দেয় আমি তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছি। এ ভাবেই দিনের পর দিন অর্থ লোভি স্বামীর পাশবিক নির্যাততের বর্ণনা দেন পিংকি আক্তার। গত ৯ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নগরীর জামাল খান প্রেস ক্লাব মিলায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। পিংকি আক্তার ২০০৮ সালে ৯ই মার্চ পারিবারের অমতে ভালোবেসে মোঃ নুর নবী (সবুজ) কে বিয়ে করে। ১১বছরের বিবাহিত জীবনে পিংকিকে তার স্বামী নুর নবী নানা সময় টাকার জন্য নির্যাতন করে । তাদের ৫বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। জন্মের সময়ে নির্যাতনের কারণে ছেলেটি শারীরিক প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জস্ম গ্রহণ করে। কিন্তু তার চিকিৎসাও করায়নি স্বামী। বরং পিংকির মায়ের পরিারেরই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। পিংকির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার কেশর পাড় গ্রামে। নুর নবীর গ্রামের বাড়ি সীতাকুন্ড উপজেলার বড় কুমিরার উত্তর ঘোড়ার মাড়ায় পিংকি একটি পোষাক শিল্প কারখানায় কাজ করতো এবং নুর নবী স্টীল মিলের শ্রমিক ছিলো। পিংকি আক্তার জানান, তার স্বামীর নির্যাতনের ব্যাপারে সীতাকুন্ড থানায় অভিযোগ করে। এ সময় তার ফুটফুটে ছেলেটি বাবার অত্যাচারের কথা তুলে ধরে পুলিশ এর কাছে। পরে আপোষরফার মাধ্যমে ঘটনা মিমাংসা করে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর নুর নবী পিংকিকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করে এবং পিংকি কে ডিভোর্স দেয়। এর পর আবার নানা ছল ধরে পিংকিকে বিয়ে করে এবং টাকা দাবি করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অতিষ্ঠ হয়ে পিংকি চাকরি নিয়ে বিদেশ চলে যান। ৪মাস আগে পিংকির স্বামী নিজেকে অসুস্থ হয়ে পড়ার দাবি করে এবং ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পিংকি ওমান থেকে দেশে ফিরে আসে। এর পর তার স্বামী তার কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, ৪ভরি স্বর্ণ, পাসর্পোট, মোবাইল ফোন এবং ঘরের দামি আসবাবপত্র হাতিয়ে নেয় এবং ২মাসের অন্তঃসত্তা পিংকিকে আরো টাকা পয়সার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে। এতে প্রাণ ভয়ে পিংকি নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় তার মায়ের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। পিংকি তার স্বামীর নৃশংসতা থেকে রেহাই পেতে আইনের সহয়তায় এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পিংকি ।
Discussion about this post