টাঙ্গাইলব্যুরোঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের রিটার্নিং কর্মকর্তা টাঙ্গাইল কর্তৃক প্রদত্ত সাংবাদিক কার্ড প্রায় শতাধিক সাংবাদিকদের না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।সূত্র জানায় দেশের বিভিন্ন সব কয়টি জেলায় এরকম ঘটনা ঘটেছে ,কিন্তু কেন এই অনিয়ম জানতে চেয়েছে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংঘঠন ।
গত ২৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সদর ও জেলার প্রতিটি উপজেলার সাংবাদিকদের পত্রিকার আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়ার শেষ দিন ছিলো। এতে টাঙ্গাইল সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী জমা দেন। গত ২৮ ডিসেম্বর এই কার্ডগুলো সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকার কারণে নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর শনিবার পর্যবেক্ষণ কার্ড স্বল্প সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিবারের চেয়ে একটু ভিন্ন ধরণের চিত্র পাওয়া গেলো। প্রায় শতাধিক সাংবাদিকদের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসা করে জানা গেছে, উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের কাউকেই দেয়া হয়নি পর্যবেক্ষণের জন্য সাংবাদিক কার্ড।
এ বিষয়ে কার্ড দেয়ার দায়িত্বে থাকা এডিসি জেনারেল মোশারফ হোসেনের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে জরুরী মিটিং এর কথা বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে একটি কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। এক পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ করতে বলেন সাংবাদিকদের। তবে কার্ড বঞ্চিত সাংবাদিকরাও কেনো কার্ড পাবে না বা কেনোই বা তাদের কার্ড দেয়া হবে না এই তথ্য জানার জন্য এই দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অপেক্ষায় ৪/৫ ঘন্টারও অধিক সময় যাবৎ অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রায় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এডিসি সার্বিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন, তিনি বলেন আমরা যাচাই বাছাই করে কার্ড দিয়েছি আর কাউকেই কার্ড দেয়া হবে না। তাছাড়া আর কোনো প্রশ্নের উত্তরও দেননি তিনি। তবে কার্ড বঞ্চিত সাংবাদিকরা বলছেন, আমরা জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক হয়ে কার্ড পাচ্ছি না অথচ, টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত মজলুমের কন্ঠ, দৈনিক পূর্বাকাশ ইত্যাদি পত্রিকার সাংবাদিকরা ও সিন্ডিকেট ভুক্ত ব্যক্তি কার্ড পেয়েছে।সূত্র জানায় দেশের বিভিন্ন সব কয়টি জেলায় এরকম ঘটনা ঘটেছে ।কিন্তু কেন এই অনিয়ম জানতে চেয়েছে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংঘঠন
দৈনিক জনতা পত্রিকার মির্জাপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক জোবায়ের হোসেন, দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার সাংবাদিক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধি হয়েও আমরা কার্ড পেলাম না- আমাদেরকে কার্ড দেয়া হয়নি অথচ টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক, দৈনিক ইত্যাদি পত্রিকার সাংবাদিকদেরই দেয়া হয়েছে কার্ড।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাগরপুর প্রেস ইউনিটের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন রতন, সা,সম্পাদক কেএম সুজন সহ মির্জাপুর উপজেলার আনন্দ টিভি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক মো. সানোয়ার হোসেন, বিজয় টিভি মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা টিভির সাংবাদিক হয়েও সংবাদ সংগ্রহের জন্য সকল কাগজপত্রাদী দেয়ার পরও কার্ড পেলাম না, কিন্তু কেনো এই সকল সাংবাদিকরা কার্ড পাচ্ছে না- দেয়া হবে না এমন কিছু কথা জিজ্ঞাসা করারও কোনো সুযোগ দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা-জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।