বিশেষ প্রতিনিধিঃদেশের সব অনলাইন পত্রিকা ও টেলিভিশনকে নীতিমালার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংবাদপত্রের নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু নয় সারা পৃথিবীতেই অনলাইন মিডিয়ার বিস্তৃতি ঘটেছে। এই বিস্তৃতি বন্ধ করা ঠিক হবে না। নীতিমালার ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা হলে ভুঁইফোঁড় অনলাইন বন্ধ হয়ে যাবে। অনলাইন টেলিভিশনেরও অনুমোদন নেয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমার পূর্বসূরী সেই কাজটি অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবো। ২৮ তারিখ (২৮ জানুয়ারি) সময়সীমা আছে, চেষ্টা করবো সময়সীমার মধ্যে করা যায় কি না। কিন্তু সেটি করতে গেলে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যত দ্রুত সম্ভব সেটি আমরা করবো। বর্তমান যে ওয়েজবোর্ড সেখানে টেলিভিশন নাই। টেলিভিশন সাংবাদিকদেরও সেখানে আসা দরকার। সেটি নিয়ে আমরা পরবর্তীতে কাজ করবো। আর ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করবেন ঘোষণা দিয়ে কেউ না করে থাকলে সেটিও আমরা তদারক করবো।’ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। ভারতীয় উপমহাদেশতো নয়-ই, পুরো এশিয়া মহাদেশে যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচিত হয় সেখানে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ছাড়া অন্য কোথাও একই দল পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়নি। এভাবে পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগকে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনা কর্মঠ প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা দুইটি স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। একটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, আরেকটি হচ্ছে দিনবদল। যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান দেই আমরা তখন অনেকেই এটিকে নিছক নির্বাচনী স্লোগান বলে হাস্যরস করেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি সিম ইউজার, ১৪ কোটি মোবাইল ফোন ইউজার। এখন রিকশাওয়ালা ভাইয়ের হাতে মোবাইল ফোন, একজন ভিক্ষুকের হাতে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে এখন শুধু কথা বলা যায় তা নয়, ছবি দেখা যায়, ভিডিও কল করা যায়। পরীক্ষার রেসাল্ট পাওয়া যায়, টেলিমেডিসিনে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায়, গ্রামের কৃষক মোবাইলে ফসলের ছবি পাঠিয়ে কৃষি অফিসারের পরামর্শ নেন।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ নেতারা।
Discussion about this post