চট্রগ্রাম নগরের একে খান মোড়ে ভিক্টোরি জুট মিল এলাকার প্লাস্টিক ও ইলেক্ট্রনিকস পণ্যের গুদামে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে। রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের ১৭টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ভেতরে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক ও ইলেক্ট্রনিকস পণ্য থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
জানাগেছে এর আগে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়
আগুন দেখতে আসা উৎসুক জনতার ভিড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যায় ৭টায়ও আগুনের বেগ বাড়ছিল। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিটের সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
আগুন লাগার স্থানটি সড়ক থেকে কয়েকশ’ ফুট দূরে হলেও মানুষের ভিড়ের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। ফলে একে খান মোড় থেকে সাগরিকা ও আল আমিন হাসপাতাল পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া ভিক্টোরি জুট মিলের গুদামগুলো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া নেয়। বিকেল ৫টার দিকে একটি প্লাস্টিক পণ্যের গুদাম থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানকার শ্রমিকরা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু মুহূর্তে আগুন পাশের আরও কয়েকটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তায় যানজট, মানুষের ভিড় এবং ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথ সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বাধার মুখে পড়ে।
পাশের ইস্পাহানি কনটেইনার ডিপোর সুপারভাইজার বলেন, গুদামগুলোতে প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রাখা হতো। ৫টার দিকে আগুন লাগলে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে।
ঘটনাস্থলে থাকা পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের ১৭টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে বলে বলেন তিনি।
Discussion about this post