আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনেও থাকছে চমক। বিতর্কিত ও বয়সের ভারাক্রান্তরা বাদ পড়ছেন। সেই সঙ্গে অতীতে সেই এমপির পরিবার-পরিজনদের আমলনামাও বিশেষ বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, দলের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন মনোনয়নে তারা অগ্রাধিকার পাবেন” এছাড়া সাংস্কৃতিক ও চাকরিজীবি অঙ্গনের ব্যক্তিরাও নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করেছেন। তারা সারাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ভূমিকা রেখেছেন। সেজন্য তাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে। সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবন, আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি ও গুলিস্তানের কার্যালয় ও বিভিন্ন নেতাদের অফিসে ভীড় শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সকলেই মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার জন্য চেষ্টা ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এসব ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত মহিলা আসনে তদবীর করলেই বাদ দেওয়া হবে তাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে শেখ হাসিনার গুডবুকে আছেন- আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, পারভিন জামান কল্পনা ও মেরিনা জাহান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদা খানম মেধাও আছেন তালিকায়। এ ছাড়াও যুবলীগ, সাবেক ছাত্রলীগের এক ঝাঁক নারী নেত্রী ও তারকারাও মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। জানা গেছে, সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বরিশালের জেবুন্নেছা হিরণ, নারায়ণঞ্জের সারাহ বেগম কবরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ঢাকার শ্যামপুরের সানজিদা খানম, শাহিদা তারেখ দীপ্তি, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, মাহজাবিন খালেদ, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, মাহজাবীন মোরশেদ, সাবিনা আক্তার তুহিন, নূরজাহান বেগম, উম্মে রাজিয়া কাজল প্রমুখ।
Discussion about this post