ঢাকা জেলা প্রতিনিধিঃবাংলাদেশ গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন এক আলোচনা সভার ২৫ জানুয়ারি ১৯ইং আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোকাদ্দেস সাহেব। সভাপতিত্ব করেন গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কমান্ডার মোস্তফা কামাল, সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কর্মচারী ইউনিয়নের মহাসচিব এম এ নাছের আইন ও সালিশি বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন,প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ সকল জেলা ও থানা পর্যায়ের সভাপতি ও সেক্রাটারী।
সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০/৪০০ শত গ্রামপুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কমান্ডার মোস্তফা কামাল বলেন তার অক্লান্ত পরিশ্রমে গ্রামপুলিশ বাহিনীর বেতন বাড়ানো হয়েছে তিনি সহ মহাসচিব এম এ নাছেন আইন ও সালিশি বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের অক্লান্ত পরিশ্রমে গ্রামপুলিশ সদস্যরা এবার নির্বাচনী ভাতা পেয়েছে। তিনি উপস্থিত সকল কে আরও অবগত করেন এলজি আরডি মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে তার আলাপ হয়েছে অচিরেই গ্রামপুলিশ ভালো কিছু পাবেন। বক্তব্যের এক পর্যায় সকল গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার করার জন্য অনুরোধ জানান। প্রতি জেলায় গ্রামপুলিশ সদস্য টেন্ডার কমিটির সদস্য করার জন্য প্রতি জেলা থেকে ১ জন বক্তির ভোটার কাডের ছবি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দেওয়ার কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে কুড়িগ্রাম জেলার একজন গ্রামপুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় অনুষ্ঠান শেষ করার পূর্বে হল রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং উপস্থিত ৩/৪ শত গ্রামপুলিশ, জন প্রতি অনুষ্ঠান খরচ বাবদ ৫০০ শত টাকা করে দাবী করেন এবং পরে ৩০০ শত করে নির্ধারন করে সকলের কাছ থেকে আদায় করেন বলে অবিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম তার ফেজবুক আইডি থেকে চাঁদার রশিদ সহ একটি পোষ্টও করেন। রাজবাড়ী জেলা থেকে আগত ছিনিয়ার একজন গ্রামপুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলে আরও কিছু গোপন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে। সে তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন আজ থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ বছর পূর্বে বি,এনপি সরকার আমলে গ্রামপুলিশ বাহিনীর দাবী দাওয়া আদায় করার লক্ষে বি,এনপি ও জামাত ইসলাম প্রন্থি গ্রামপুলিশ সদস্যরা মিলে সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন ২৩/২ তোপখানা তাদের সহযোগিতায় গঠন করা হয় গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন এবং তাদের অফিস রুমেই গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস রুম হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। সে সময় গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতিত্ব দেন বি,এনপি পন্থি গ্রামপুলিশ সদস্য প্রয়াত এম এ আলিম সহ জামাত ইসলাম পন্থি গ্রামপুলিশ সদস্যবৃন্দ। পরবর্তীতে বি,এনপি সরকার পরিবর্তন হলে এম এ আলিম সাহের ক্ষমতা কমে যায় তাই তারা আর বেশীদূর এগুতে পারেনি। আনুমানিক ২০১৩/১৪ সালে গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের মাঝে দুইটি গ্রুপের জন্ম নেয় একটি গ্রুপ জাসদের এমপি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর মাধ্যমে আরেকটি কমিটি গঠন করেন। ২৩/২ গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের মহাসচিব এম এ আলিম সাহেবের মৃত্যু হলে মহাসচিবের দায়িত্বে আসেন জামাত ইসলাম পন্থি গ্রামপুলিশ সদস্য রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বাসিন্দা এম এ নাছের। তার নেত্তিত্বেই বর্তমানেও এই কমিটি পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি আরও পরিষ্কার করার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের ২৩/২ কেন্দ্রীয় কমিটির অফিস কক্ষে। সেখানে গিয়ে বলে দেখেন এদের অফিসে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর ছবি নেই আবার আজ যে আলোচনা সভা করা হচ্ছে সেখানেও জাতিরজনক ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবি নেই। তিনি আরও বলেন দেশে যে সরকার আসবে প্রতিটি সরকারী অফিসে সেই সরকার প্রধানের ছবি থাকে, বড় বড় যতো বাহিনী আছে সকল বাহিনীর অফিস রুমে জাতিরজনক ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি আছে কিন্তু গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন ২৩/২ অফিসে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নাই। তাহারা বক্তব্যে এলজি আরডি মন্ত্রীর সাথে যে কথা হওয়ার কথা বলেছেন সেটাও নাকি টাকা তোলার জন্য মিথ্যা বানোয়াট বলে অবিযোগ উঠেছে ।
Discussion about this post